Friday, September 16, 2011

ছড়ায় ভরা বর্ণমালা -- বাংলা বর্ণমালার ছড়া


=================


৔৔৔৔৔
৔৔৔৔৔
  ☼☼☼☼☼  





সর্বান্তিক ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে পড়তে হবে৤ বিনামূল্যে ফন্ট ডাউনলোড লিংক:-- 





ছড়ায় ভরা বর্ণমালা
বাংলা বর্ণমালার ছড়া




মনোজকুমার দ. গিরিশ৤
মণীশ পার্ক, কোলকাতা, ভারত 






অম্বরে ডাকে মেঘ
কী ভীষণ গর্জন
মেঘ কোথা দেখ এসে
নাসিকার তর্জন৥



আম গাছে আম হয় 
     বলে কেবা তাহা
আম গাছ গান গায় 
     শোননি কি আহা?



ইট বালি সুরকি করে নাচ তুর্কি
নেচে নেচে পাওয়া গেল মুড়ি আর মুড়কি!



ঈগল নাকি পাখি এক

          লোকে বলে বটে

দেখিলাম একদিন

          ছাতা হাতে হাটে৥        



উবু হয়ে বসে বোকা, করছ তুমি কি হে

ফাঁকি দিয়ে মোরা সব চলিলাম গৃহে৥

ঊর্ধ্বপানে চেয়ে দেখ আকাশের দিকে
তারারা আলোয় সেথা চিক্ ঝিকমিকে৥
ঋজুরেখা সোজা চলে, বক্ররেখা বাঁকা
এসব চাহিয়া দেখ খাতাভরা আঁকা৥
এলেম দেখ খোকাবাবুর পড়েন খবর কাগজ
দু-বছরেই গেরেমভারী বুদ্ধিভরা মগজ৥
ঐরাবত যে হাতি তাহা জানে সর্বজন
অভিধান দেখে তাহা বুঝেছি এখন৥
ওরে বাবা কাকেদের কত বড় সভা
সেখানেও সভাপতি এ পাড়ার ন্যাবা৥
ঔদার্য মহৎ গুণ মহতের থাকে
থাকিলে ঔদার্য মহৎ বলিব তাহাকে৥






====================
☼☼☼☼☼☼

কোঁকর কোঁ মুরগিটা ডাকে
ডিমটা দেব কাকে
ডিম থেকে ফুটল ছা
ডিমের খোলা নিয়ে যা৻




খ্যাঁক খ্যাঁক করিস ক্যান্
            খেঁশিয়ালি ভাই
তোর তরে পান্তাভাত
            হাঁড়ির ভেতর নাই!





গবাদের পুকুরে
            জাহাজের বাজে ভোঁ
জাহাজটা পাবে কোথা
            নৌকার ছোট পো৥

              



ঘাপটি মেরে বাঘটি ছিল
            গভীর মনের মাঝ
কেবল খাওয়া, কেবল ঘুম
            এই তো তাদের কাজ৥





ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ্
ডাকছে ডাঙর ব্যাং
            মাঠের মাঝে মস্ত কোলা
নাচানাচি লাফালাফির চোটে
            ন্যাং ন্যাং নেঙচে চলে ঠ্যাং৥     


চাচা আর চাচিদের বনগাঁয় বাস
চাচা ওঠে তালগাছে চাচি খায় শাঁস৥





ছিবড়ে খেয়ে পিঁপড়েগুলোর
            বড়ই পুলক লাগে
কেন খাবে ছিবড়ে মোদের?
            ফোলে মামা রাগে৥





জাবর কাটে গরুগুলো, মনে মনে ভাবে
ঘাস বিচালি খায় না মানুষ, কেমনে গরু হবে?
গরু হওয়া নয়তো সোজা সাধন লাগে ওরে
ঘাস বিচালি খড়ের স্বাদ জানবে কেমন করে? 





ঝিঁঝিদের গান শুনে ভাঁজিলাম তান
গলা ভেঙে দুপুরেই দিনু পিঠটান৥





মিঞাও রবে ডাকছে বিড়াল
            দুধ ভাত চায়
ডালভাতে রুচি নেই
            পেট ভরা দায়৥





টরে টক্কা টরে
খবর এলো তারে
মোদের পুষি ঘুমিয়ে আছে
তেপান্তরের ধারে৥





ঠাকু’মার জাঁতিখানা পেতলের বটে
ঘুম পেলে তারও জেনো ঘন হাই ওঠে৥



ডাব গাছে ডাব হয় এতকাল জানি
গিয়ে দেখি ঝুলে আছে ইলিশ দুখানি৥





ঢাক পিটিয়ে মাঠের মাঝে
            ফলিয়ে দিল ফসল
বাজনা নয় তার পিছনে
            পিটুনিটা আসল৥





ণত্বষত্ব নেই জ্ঞান
            আমসত্ব খায়
নাকে গুঁজে ফেলল ছুঁড়ে
            সবটা খানায়৥





তরকারি কুটিতে বসে লেগে গেল সবে
মেঘ আর বাতাসে বিয়ে নাকি হবে!





থাকল তবে কথা
বর আসবে বউ আসবে
মাথায় তেঁতুল পাতা৤  
খাট নেই পালং নেই
কী করবে? ভুঁয়ে বসবে
আড়ি আড়ি যে হাসবে৥

         




দোয়াতের ভেতরে চেয়ে দেখি ভাইরে
ছিঁটে ফোঁটা একটুকু কালি তাতে নাইরে
আলু সেদ্ধ ডাল সেদ্ধ মাখবো কিসের জোরে
দোয়াতটাকে মাখার মধ্যে দিলাম গুঁড়ো করে৻





ধান বুনি মাঠে মাঠে, গান বুনি সাথে
এক সাথে বুনিও না, থাকুক তফাতে
ধানে গানে ঠেলাঠেলি বড় লাঠালাঠি
মাঠেই রইবে ফলে হয়তো চাপাটি৥







নাকটা তার নাকের মতো, কানটা কানের মতো
পেটখানা নাদা নাদা, মুখটা খেতেই দড়
কেমনে এমন হয়
অঙ্কটা খাটকা ভারী, ভয়ে তাই জড়সড়৥





পাঁঠার ছিল চারটে পা, শুনে পিলু ভাবে
চারটে মোটে পা, সত্যি কি তা হবে?
রেল গাড়িতে কত পা, পেরিয়ে হাজার যাবে
থাক থাক বুঝেছি, কত আর মিছে কবে?





ফুল একদম ফুলের মতো দেখতে কত ভালো
মায়ের মতো স্নিগ্ধ মধুর মুখটি তাহার আলো৥





বাবা বাবা বুঝিনা, দিন রাত্তির কেন যে রোজ হয়
চুপ করে বসতে তার, কারে এত ভয়?





ভাবিতে ভাবিতে তার গেল কত কাল
শুয়ে ভাবে, বসে ভাবে, ভাবে নেচে নেচে
হাসিতে হাসিতে ভাবে, ভাবে কেশে কেশে
ভাবনা আসিয়া বলে ভেবো নাকো আর
ভাবনার ভারে মোর খুলে গেল হাড়৥





মাটি মেখে ভাবি আমি, মাটির মানুষ হলাম
কাদা মেখে সারা দেহে গেলাম আমি গেলাম
জল কাদাতে ঠাণ্ডা লেগে পড়ে গেলাম জ্বরে
সোজা নয় যে কাজটি করা, বুঝিলাম অন্তরে৥





যাযাবর নানা দেশে চিরকাল ঘোরে
পাখিদের মতো বুঝি পাখা মেলে ওড়ে৥





রাগ করেছ আমার পরে রাগের কথা নয়
মেঘের ওই গুড়গুড়ানি আমার রাগের নয়৥





লঙ্কা ঝাল সে তো জানি
            কিন্তু জানো কি
দুধটাও বেজায় ঝাল
            আরে, সত্যিই বলছি!   





শক্ত একটা প্রশ্ন ছিল যদি জবাব পাই
হাওয়া খাই রোজ বিকেলে
তবু কেন পেট ভরে না
        তাহার জবাব চাই৥





ষাট টাকা মাইনে
বলে কিছু খাইনে
একটু মোটে শখ ছিল তার
দুয়ারে দাঁড়ায়ে গাড়ি, সার সার৥





সত্যি বলতে কি, নাকে ঝরে ঘি
এত ভালো থাকতে খাবার, লোকে খায় কি?
দুধ থেকে বানানো, খাঁটি গাওয়া ঘি?
এ্যাঃ, ছি ছি ছি৻





হাসির কথা নয়, মন দিয়ে শোনো
এতে খরচ, একটুও নেই কোনও
পশুপাখিদের দেখ কত অনায়াস
সারা গায়ে নেই তার কোনও দেহবাস
মানুষেরা সবে যদি সেই পথ ধরে
কাপড়ের খরচ তার কমিবে সত্বরে৤






খড়ম পায়ে গরমকালে খটাস্ খটাস্ হাঁটে
হাঁটিতে হাঁটিতে খড়ম উঠিবে কি লাটে?






আষাঢ় মাসে বাদল আসে, শীতকালে শীত
মনের সুখে গাও কষে, মনের মতো গীত৤





খায় না পাখি, গায় না পাখি
            দাঁড়ে বসে কাঁদে
আকাশের স্বাধীন জীব
            পড়েছে কি ফাঁদে৥



হঠাৎ করে উলটে পড়ে বঙ্কুবাবু ভাবে
পৃথিবীটা এমন করে উলটে গেল কবে?  




বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার মা
মনের সুখে সবাই মিলে আনন্দে গান গা৥




বাঃ বাঃ বাঃ আরশোলা নাচে দেখ
তুলে ঊর্ধ্বে পা৥





চাঁদমামা চাঁদমামা চাঁদপানা মুখ
চাঁদমুখে চেয়ে মোর
            তাই এত সুখ৥ 




============

☼☼☼☼☼☼


বাংলা বর্ণমালা মোট =৫০ (স্বরবর্ণ=১১+ ব্যঞ্জনবর্ণ=৩৯)




স্বরবর্ণ= ১১
          অ আ
          ই ঈ
          উ ঊ
         
          এ ঐ
          ও ঔ

                  

ব্যঞ্জনবর্ণ=৩৯
          ক খ গ ঘ ঙ
          চ ছ জ ঝ ঞ
          ট ঠ ড ঢ ণ
          ত থ দ ধ ন
          প ফ ব ভ ম
          য র ল শ ষ
          স হ ড় ঢ় য়
             

             

     

     ছড়ায় ভরা বর্ণমালা 
      বাংলা বর্ণমালার ছড়া
    মনোজকুমার দ. গিরিশ






 


☼☼☼☼☼☼


সর্বশেষ পরিমার্জন 
/০৭/২০১৭




 অতিরিক্ত  পড়া: 

ছড়াজীব- ছোটদের উপযোগী ছড়া

  http://bangla-biswa.blogspot.in/2011/07/blog-post.html 





No comments:

Post a Comment