Tuesday, February 24, 2015

বামুনের চাঁদে হাত, পর্ব-৬






বামুনের চাঁদে হাত

মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা






৬টির
পর্ব-৬


শেষ পর্ব





লেখাটি ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’AhanLipi-Bangla14 ফন্টে পড়লে লেখাটির উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে৤ ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করার লিংক: 
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip






সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং


অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤




৬টির
পর্ব-৬




                 আমার এক কনিষ্ঠ আত্মীয়া প্রস্তাব দিল টিভিতে এটা প্রচার করতে৤ 



পাড়াতেই থাকে সেই আত্মীয়াটি(লিলি হালদার, খ্যাত আধুনিক কবি) বললাম আমার আপত্তি নেই, ব্যবস্থা করতে পারো৤ 

সে তখন নিজেই কথা বলল বাংলা চ্যানেল তারা নিউজ চ্যানেলের


   


একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে, যারা সে যুগে এধরনের প্রচারে নেমেছিল৤ তারা এলো, সক্ষাৎকার তুলে নিয়ে গেল৤ দুদিন পরে তা টিভিতে প্রচারিত হল৤ 



          এছাড়া, আমিও দু-একটি চ্যানেলকে চিঠি দিয়েছিলাম তাদের একদল এলো৤ তারাও আমার সাক্ষাৎকার তুলে নিয়ে গেল৤ 



      পর পর সাক্ষাৎকার নেওয়াতে আমার বরং মনে হল এতসব উৎপাত আমার সহ্য হবে না৤ রোজ যদি সাক্ষাৎকার দিতে হয়, কাজ হবে কখন? এসবের কিছু প্রস্তুতিও আছে৤ কারণ, তারা ওই একই সময়ে এক দিন মাত্র পরে পরে এসেছিল৤ তারাও প্রচার করল৤ 



এটা ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে৤ সেই জনপ্রিয় চ্যানেলটি(বাংলা এখন) আর অবশ্য চালু নেই৤
  


          বাংলা ‘যুক্তবর্ণ’ লেখা নিয়ে যখন একটা তত্ত্ব খাড়া করে ফেললাম, তখন একদিন তা লিখে নিয়ে গেলাম ”দেশ” পত্রিকায় জমা দিতে৤ কিন্তু জমা দেব কি দেব না, তা নিয়ে মনে দ্বন্দ্ব দেখা দিল৤ এসব লেখা কি ওখানে ছাপা হবে? ‘দেশ’ সবার উপরে, সেখানে আমার মতো এক অকিঞ্চিৎকর  অপরিচিত লোকের লেখা কি বের হবে? ধর্মতলায় ট্রাম গুমটিতে বাড়ি ফেরার ট্রামে উঠে বসে রইলাম৤ নাঃ, যাব না৤ কাছেই ‘দেশ’-এর অফিস৤


      পরে মনে হল, আমার এ লেখা যদি ‘দেশ’ বের না করে, তবে আমার আর অন্য কোনও লেখা দেশ-এ বের করার মতো নয়৤ তাই যা থাকে কপালে ভেবে, গেলাম জমা দিতে৤ কাছেই দেশ-এর অফিস৤ জমা দিয়ে এলাম৤ একটা বিরাট ভার নেমে গেল মন থেকে৤ লেখা বের হোক না হোক, তা নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই৤ তার পরে সত্যিই ভুলে গেলাম৤ কারণ দেশ-এ আমার লেখা বের হবে সেটা আমার আশা করা বাতুলতা৤ 

        বছরখানেক পরে একদিন অফিসের একজন বন্ধু বলল আপনি কোনও লেখা দিয়েছিলেন দেশ-এ? মনে পড়ল, ছ্যাঁৎ করে উঠল বুকটা, হ্যাঁ দিয়েছিলাম৤ বললাম, হ্যাঁ কেন? আপনার লেখা বেরিয়েছে৤ লেখার শিরোনাম ছিল “বাংলা যুক্তবর্ণের প্রকৃতি নির্ধারণ”, সে ১৯৮৭-র ঘটনা(০১/০৮/১৯৮৭)৤ 

(লিংক দেখুন: http://banglainternational.blogspot.in/2015/05/blog-post.html)


       আমি যেভাবে বাংলা যুক্তবর্ণগুলিকে লিখতে চাইছিলাম দেখলাম দেশ সেটা করতে পেরেছে৤






তখনকার দিনের ছাপায় এভাবে করাটা অভাবিত ছিল৤ আমি অবাক হলাম৤ অবশ্য এখনকার দিনেও আমার অভীষ্ট পদ্ধতিতে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখা অন্যদের পক্ষে কঠিনই৤ কারণ তাদের কাছে তো এই ফন্টটিই নেই৤ স্ক্যান করে বা কৌশল করে কিছুটা করা যেতে পারে৤ যদি আমার তৈরি ফন্টটি কেউ ডাউনলোড করে নেন তবে এভাবে লিখতে অসুবিধে নেই৤ আর ফন্টটি তো ডাউনলোড করে নেবার জন্য নেটে দেওয়াই আছে৤

লিক:  https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip


         কোলকাতার “নন্দন” সাময়িকে একটা লেখা দিয়েছিলাম৤ আর তা একইভাবে ভুলেও গিয়েছিলাম৤ অনেক লেখাই বিভিন্ন সাময়িক পত্রে দিতাম তার বেশ কিছু প্রকাশিত হয়েছে, দু-একটি বের হয়নি৤ ক্ষুদে লেখকদের তা নিয়ে মনে কিছু করার নেই৤ সম্পাদক লেখার মান-এ সন্তুষ্ট না হতে পারেন, আর সেখানে জায়গার অভাব একটা বড় কারণ৤ অনেক পরে একদিন ডাক পেলাম নন্দনের  লেখাটির প্রুফ দেখার৤ জটিল টাইপে এসব লেখা অন্যের পক্ষে প্রুফ দেখা কঠিন৤ গেলাম তাদের অফিসে৤ এবারও অবাক৤ তারা কেমন করে বেশ সামলে সেসব ঠিক কম্পোজ করে ফেলেছেন৤ তাঁদের কম্পোজিটারের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম যে তারা স্ক্যান করে তা দিয়ে কাজটি সারছেন৤ দেখালেনও উদাহরণ৤ বেশ ভালো কথা৤ লেখাটি যখন প্রকাশিত হল তখন দেখলাম যে তাঁদের সম্পাদকীয় মহল লেখার শেষে নোট দিয়ে লেখাটির প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত নন বলে জানিয়েছেন৤ তবু তাঁরা লেখাটি প্রকাশ করলেন দেখে আশ্চর্য হয়েছি৤ বুঝলাম যে সম্পাদকীয় দপ্তরে মতভেদ হয়ে থাকবে লেখাটি প্রকাশ করা নিয়ে(গিরিশ মনোজকুমার দ.-- বাংলা বানান :  সংস্কার-কাজ শুরু হোক-- সম্পাদক, বিপ্লব দাশগুপ্ত-- নন্দন-- ৩৯ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা, আগস্ট-২০০৩, পৃঃ ৩৬-৪৮, কোলকাতা)৤

          বেশ আগে একদিন একজন অফিসের বন্ধু এসে বলল, এশিয়াটিক সোসাইটির একটা সেমিনার হবে কোলকাতায় সেখানে আপনার লেখা জমা দিন৤ আমি বললাম ওসব জায়গায় আমি কী করে যাব? তিনি একটা বুলেটিন এনে দিলেন৤ সেটা দেখে সাহসে ভর করে একদিন লেখা নিয়ে গেলাম এশিয়াটিক সোসাইটিতে জমা দেব বলে৤ সেখানে যে অধ্যাপক ছিলেন তিনি সেটা সোসাইটির সেমিনারে যাতে পড়া যায় তার ব্যবস্থা করে দিলেন৤ আমার তো কোনও রেফারেন্স ছিল না, তিনি সেটা জোগাড় করে দিলেন৤ সেই লেখাই দেশ-এ জমা দিয়েছিলাম৤

          কোলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে(যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে) এশিয়াটিক সোসাইটির সেই সেমিনার হয়েছিল৤ তখন এশিয়াটিক সোসাইটির সম্পাদক ছিলেন জগন্নাথ চক্রবর্তী৤ সেমিনারে বাংলার জন্য একটা আলাদা বিভাগ ছিল৤ পর পর এক-একজন তার পেপার পড়তে লাগলেন৤ আমিও আমার টার্মে আমার পেপার পড়লাম৤ উপস্থিত একজন তরুণ অধ্যাপকের(ডাঃ সুহৃদকুমার ভৌমিক) ভূয়সী প্রশংসা পেলাম৤ অনেকেই চিন্তাটাকে সমর্থন করলেন৤ সেই একই কথা অর্থাৎ বাংলায় যুক্তবর্ণের জন্য হওয়া উচিত


  

 এবং  



সূত্র৤ 


         এশিয়াটিক সোসাইটির সেমিনারের সেদিন আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম, কারণ নামকরা অধ্যাপকেরা সেখানে ছিলেন৤ আমি তো এক অচেনা এলেবেলে মানুষ, আমার লেখা লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথাই নয়৤ বুঝলাম আমার চিন্তাটা খুব বাজে নয়৤ কিছু মূল্য থাকতেও পারে৤

          কাছেই আমার এক বন্ধুর বাড়ি ছিল, তাঁকে আগেই জানিয়েছিলাম সেমিনারের খবর৤ তিনি পরে এসেছিলেন, আমার পুলক দেখে নিজেও খুশি হলেন৤ পণ্ডিত মহলের এই সার্বিক সমর্থন আমার কাছে ছিল সত্যিই অভাবিত৤ অচেনা এলেবেলে আমাকে সমর্থন করার তাঁদের কোনও দায় ছিল না৤ এসব জায়গায় পরিচিত পণ্ডিত না হলে কলকে পাওয়া যায় না৤


          বাংলা ইউনিকোড ফন্ট বানাবার জন্য সকল রকম উদ্যোগ নিয়ে যখন তা সফল হল, তখন বুঝলাম যে, সবটা সার্থক হতে হলে বাংলা কিবোর্ড সবার ক্ষেত্রে এক হতে হবে, অর্থাৎ বাংলার জন্য একটিই মাত্র কিবোর্ড হলে তবে বাংলা ইউনিকোড পূর্ণ সফল হবে৤ এজন্য বাংলাদেশের ওয়েবসাইট-- ‘বিজ্ঞানী.কম’(Biggani.com পরে http://biggani.org/) এ লিখতে লাগলাম৤ তাঁরা আমার লেখা পেয়ে খুশি, আমাদের যোগাযোগ বাড়ল অনেকটাই৤ শেষে তাঁরা আমাকে তাঁদের সাইটের একটা বিভাগের অতিথি সম্পাদক করে নিলেন৤

          আমি সেখানে একটা নির্দিষ্ট বাংলা কিবোর্ড করা নিয়ে প্রস্তাব দিলাম৤ বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, এবং এক কোণায় পড়ে থাকা আন্দামান, দণ্ডকারণ্য, কর্ণাটকের উদ্বাস্তুগণ(যাদের কেউ মনে রাখেনি), ঝাড়খণ্ড, আসামে শিলচর অঞ্চল, এবং অন্য সকল বাংলা অঞ্চলের প্রতিনিধি নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম৤ তার অবশ্য কে, বা কারা যে ব্যবস্থা করবেন তা নির্দিষ্ট নয়৤ তবে এটা বাংলাদেশের প্রাথমিক দায়িত্ব, সঙ্গে থাকবে পশ্চিমবঙ্গ, এবং ত্রিপুরা৤ কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ রাষ্ট্র, তার রাষ্ট্রভাষা বাংলা, আর পশ্চিমবঙ্গ, এবং ত্রিপুরা ভারতের অঙ্গরাজ্য, এদুটির রাজ্যের সরকারি কাজের ভাষা হল বাংলা৤ 
          বাংলাদেশে একজনের করা কিবোর্ড অন্যে কেন ব্যবহার করবে তা নিয়ে প্রবল বিতণ্ডা হয়ে গেছে, তার আলোচনা এখানে বসেও বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলে শুনেছি৤ আশ্চর্য যে পৃথিবীতে ইংরেজির একটাই মাত্র কিবোর্ড, বিশ্বের ২৭টি রাষ্ট্রের ভাষা ইংরেজি, তাহলে বাংলায় একটামাত্র কিবোর্ড হবে না কেন? আর যত দিন তা না-করা যাবে ততোদিন বাংলা ইউনিকোডের মতো অতি আধুনিক ব্যবস্থাও বাংলায় পূর্ণ সফল হয়ে উঠবে না৤ তাই সকলকে এনিয়ে ভাবতে হবে৤ এটা বাংলাভাষীদের সকলের করণীয় কাজ, চুপ করে বসে থাকার দিন নেই, সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা সম্পূর্ণ পিছিয়ে না থাকলেও, খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছি৤ কচ্ছপের গতিতে৤ অর্থাৎ পিছিয়ে পড়ছি৤


       বাংলা ইউনিকোড ফন্ট বাংলাদেশ যত তাড়াতাড়ি গ্রহণ করেছে, পশ্চিমবঙ্গ সে তুলনায় বহু বহু পিছিয়ে আছে৤ এখানকার বড় বড় সংবাদপত্রগুলিও অবধি এখনও পুরোদমে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট গ্রহণ করতে পারেনি৤ ছাপাখানায় অগ্রগতি তো আরও ধীর৤ আর কত জেগে ঘুমোনো? ঘুমিয়ে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত৤ সাধু সাবধান৤


          আমার চিন্তাভাবনা প্রধানত তিনটি বিষয় নিয়ে, (১)পরিবেশ, (২)সমাজ, (৩)ভাষা৤ এসব নিয়ে উন্নত ভাবনাচিন্তার যোগ্যতা বা দক্ষতা আমার আছে কিনা সেটা কথা নয়, আমি এগুলো নিয়ে কিছুটা ভাবি৤ 


         পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একটি প্রকল্প হাজির করেছি তাতে বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করা যাবে৤ মূল বিষয়টি আমাদের সামাজিক ব্যবহারে ছিলই৤ সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমার সে প্রকল্প৤ সেটি ড্রইং সহ জ্ঞান ও বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে(জ্ঞান ও বিজ্ঞান৤ মে-জুন ১৯৮৪, ৩৭বর্ষ, ৫ম-৬ষ্ঠ সংখ্যা)৤ যদি সেটি ঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তবে শহরের দূষিত বায়ুকে দূষণহীন করা যাবে৤ তার বিশুদ্ধির পরিমাণ ধরি প্রায় ৯০ শতাংশ হবে, অর্থাৎ শহরের বায়ুও বিশুদ্ধ বাতাসে পরিণত হবে৤ তবে প্রকল্প খুব সহজ হলেও এজন্য প্রবল উদ্যোগ নেওয়া দরকার, ব্যয়ও অনেক, আয়োজনও করতে হবে অনেক, মূল ব্যবস্থাটি কিন্তু খুবই সহজ৤ জটিল যন্ত্র লাগবে না৤ কেউ যদি নিজের ঘরের বাতাসকে সমুদ্র বায়ুর মতো নির্মল করতে চান তবে তিনি উদ্যোগ নিলে তা করতে পারবেন৤ প্রকল্পটি দেখা যাবে এই ওয়েব লিংকে:

          দ্বিতীয় বিষয়টি হল সমাজ৤ এই ভাবনার একটি প্রকাশ আছে আমার নামে৤ আমার নামটি হল ‘মনোজকুমার দ. গিরিশ’৤ এর প্রথম অংশ ‘মনোজকুমার’ পিতৃদত্ত আমার মূল নাম, দ্বিতীয় অংশ ‘দ.’ হল “দীনেশচন্দ্র” আমার পিতার নামের সংক্ষেপকরণ,  আর তৃতীয় অংশ হল ‘গিরিশ’, আমার ঠাকুরদা বা পিতামহের নাম “গিরিশচন্দ্র” থেকে নেওয়া৤ তিন প্রজন্মের নাম জুড়ে আমার এই নামটি আমি “সৃষ্টি” করে নিয়েছি৤ একজন উচ্চ শিক্ষিত তরুণীকে দেখেছি সে তার নিজের পিতামহের নাম জানে না৤ আমার এই নামকরণ ব্যবস্থায় নিজের নামের সঙ্গে পিতামহের নাম সব সময়ে উচ্চারিত হবে৤ আর পিতার নামের সঙ্গে তো পূর্বপুরুষেরা উপস্থিত থাকবেন!

       এটাই আমার সমাজকর্ম৤ এসব নিয়ে অনেক আলোচনা করা হয়েছে নানা সময়ে, প্রধানত ‘পথ সংকেত’ পত্রিকায়৤ আমার একটি ব্লগে এই ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত লেখা আছে৤ দেখার লিংক: 

 http://bachanbayan.blogspot.in/2010/05/blog-post.html 
 


          আর তৃতীয় বিষয়টি হল ভাষা৤ সেটাই আমার প্রধান বিষয়৤ তাই এই বাংলা ইউনিকোড ফন্ট নিয়ে আলোচনা করা৤ বাংলাভাষা নিয়ে আমার সর্বশেষ যে বক্তব্যটি, তা হল ইংরেজি যুক্তবর্ণ(তথা যুক্তধ্বনি) লেখা এবং বাংলা যুক্তবর্ণ লেখা নিয়ে করা একটি আলোচনা৤ “বাংলা লেখা ছাপিয়ে গেল ইংরেজিকে” এটি নেটে দেখা যাবে, লিংক:

          এই আলোচনা করার সাহস জুগিয়েছে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে অতি অল্প কিছুটা জানার ফলে৤ সেটা ভুল কি ঠিক, তা নির্ধারণ করবেন বিশেষজ্ঞ পন্ডিতেরা৤ তাঁরা আমার এই মূর্খ লাফালাফি দেখে মুচকি হাসবেন, নাকি প্রবল ক্রুদ্ধ হবেন, অথবা চুপ করে থাকবেন, তা বোঝা যাবে পরে৤ তবে মনে হয়, তাঁরা এই বাতুল বাচন নিয়ে আলোচনা করে সময় এবং শক্তির অপচয় করতে রাজি হবেন না৤ 

       যাহোক আমার কথা তো আমি বলেই দিয়েছি, কোনও ঘোরপ্যাঁচ করে বলিনি৤ এবার বিশ্বদরবার তা নিয়ে যা বলবে, সেটাই ঠিক৤ এ যুগে তো ইন্টারনেটের এটাই মস্ত সুবিধে অথবা চূড়ান্ত অসুবিধে “বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ, কেমনে দিই ফাঁকি ! ...”



পাঠকদের মন্তব্য স্বাগত৤

আমার মেল: manojkumardgirish@yahoo.com






সমাপ্ত৤





মনোজকুমার দ. গিরিশ 
মণীশ পার্ক, কোলকাতা 




সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ০৮/০৩/২০১৮ 



ফিরে যান প্রথম পর্বে--


(মোট ৬টি পর্ব)বামুনের চাঁদে হাত, পর্ব-১ :

http://banglamagna.blogspot.in/2015/02/blog-post.html