বামুনের চাঁদে হাত
মনোজকুমার দ. গিরিশ
৬টির
পর্ব-৩
লেখাটি ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’AhanLipi-Bangla14 ফন্টে
পড়লে লেখাটির উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করার লিংক:
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
সঙ্গে
দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14
Default text font setting)
Default
text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
এবং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet
setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top
left) Tools
Options--contents
Fonts and Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-- OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-- OK
-- OK
এবারে
ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
৬টির
পর্ব-৩
যাহোক
কাজ চলতে লাগল, একটু একটু করে কম্পিউটার চালাতে শিখলাম, ডস্-এ প্রোগ্রাম করতে
শিখলাম(উইন্ডোজ এসেছে অনেকটা পরে) একটু একটু করে ধীরে ধীরে কাজ রপ্ত করতে লাগলাম
বই পত্র পড়ে শিখতে লাগলাম কেমন করে কী করতে হয় অফিসে কিছু কিছু কম্পিউটার
প্রোগ্রাম করলাম, তা অফিসেরই কাজের জন্য ডাটা ফাইল থেকে সিলেকটেড লোককে চিঠি ছেপে
পাঠালাম প্রোগ্রাম করে একজনকে করে দিলাম পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড ডাটা যেখানে সে
ছাড়া আর কেউ ঢুকতে পারবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু তাতে কী হবে, কম্পিউটারে
বাংলা ফন্ট বানানো তখনও সুদূর স্বপ্ন, কিংবা তারও বাইরে! এই সময়ে যাদবপুরের
‘বর্ণচর্চা’-য় ছিলেন সমর ভট্টাচার্য,
যিনি কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট প্রথম তৈরি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর গবেষণা চলছিল, এবং তাঁর নির্দেশক অধ্যাপক ডঃ তপন ঘোষালও ‘বর্ণচর্চা’ সংগঠনে ছিলেন তাঁদের কাছে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ওঁদের একজন আমাকে বললেন, আপনি কম্পিউটার চালাতে বন্ধ করতে পারেন তো? সেই যুগে বাজারে সদ্য ডেস্কটপ কম্পিউটার এসেছে মনে হতে পারে যে, এভাবে বন্ধ করা চালু করার কথা বললেন কেন, সেটা না পারলে তো কম্পিউটারে কাজই করা যাবে না তাঁর বলার মধ্যে হয়তোবা এমন বার্তা ছিল যে, এখন তো বাংলা ফন্ট প্রথম বানাবারই গবেষণা চলছে! আমি কিন্তু তাঁর কথায় একটি গভীর সংকেত পেয়ে গেলাম সেইভাবে আমার চিন্তাকে চালিত করলাম, অর্থাৎ ডস্(DOS, Disc Operating System)-এ কাজ করা যাবে
ডঃ সমর ভট্টাচার্য (বর্তমান চেহারা)
যিনি কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট প্রথম তৈরি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর গবেষণা চলছিল, এবং তাঁর নির্দেশক অধ্যাপক ডঃ তপন ঘোষালও ‘বর্ণচর্চা’ সংগঠনে ছিলেন তাঁদের কাছে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ওঁদের একজন আমাকে বললেন, আপনি কম্পিউটার চালাতে বন্ধ করতে পারেন তো? সেই যুগে বাজারে সদ্য ডেস্কটপ কম্পিউটার এসেছে মনে হতে পারে যে, এভাবে বন্ধ করা চালু করার কথা বললেন কেন, সেটা না পারলে তো কম্পিউটারে কাজই করা যাবে না তাঁর বলার মধ্যে হয়তোবা এমন বার্তা ছিল যে, এখন তো বাংলা ফন্ট প্রথম বানাবারই গবেষণা চলছে! আমি কিন্তু তাঁর কথায় একটি গভীর সংকেত পেয়ে গেলাম সেইভাবে আমার চিন্তাকে চালিত করলাম, অর্থাৎ ডস্(DOS, Disc Operating System)-এ কাজ করা যাবে
প্রথমে
প্রোগ্রাম করে রেখা আঁকতে চাইলাম অনেক কষ্টে, বহু লড়াই করে সেটা করা গেল এবার কী করে হরফ আঁকা যাবে?
অনেক চেষ্টায় অবশেষে একটা হরফ বানিয়ে, বা এঁকে ফেললাম এবার চলতে লাগল অন্য হরফ
বানানো সহজ গঠনের হরফ বানানো গেলেও জটিল গঠনের হরফ বানানো কঠিন হল অবশেষে সেটাও
হল সবই কিন্তু পুরানো দিনের ডস্(DOS) অপারেটিং সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে এবার তা দিয়ে শব্দ বাক্য লেখার চেষ্টা
চলল হল তাও এভাবে দিনের পর দিন, চেষ্টা করে কিছু লিখতে পারলাম আমার কাজ চলতে
লাগল পুরোদমে এটাই আমার ধ্যানজ্ঞান এমনকী একটা ‘কি’(Key) চেপে
একটি পুরো বাক্য লেখার মতো কৌতুকও করলাম কিন্তু এসব লিখেও মনে মনে খুশি হতে পারছিলাম
না খুবই কৃত্রিভাবে লিখতে হত
বাংলা
হরফ হাতে ড্রইং করার কিছু বিচিত্র উদাহরণ দেখা যাক--
উপরের লেখাগুলি কাগজের উপরে ফ্রিহ্যান্ড ড্রইং বিচিত্রভাবে বাংলা হরফ আঁকা যায় কিনা তা দেখার জন্য এমনি করে আঁকা
পথসংকেত
সফ্টওয়্যার
করার আগে কাগজের উপরে আমার হাতে করা বাংলা হরফের ড্রইং
কাগজের
বিশাল মাপের গ্রাফ শিটের উপরে আমার করা ‘বাংলা ইনজিনীয়ারিং
বর্ণমালা’
ইঞ্জিনিয়ারিং
ড্রইং-এর নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে কালো কালি চাইনিজ ইংক-এ করা
এসবই
হাতে করা ড্রইং, এই অঙ্কন অনুসরণ করেই আমার বাংলা হরফ বানানোর চেষ্টা কম্পিউটারে
প্রথমদিকে করা আমার বাংলা লেখার চেষ্টার উদাহরণ দেখা যাক--
ডস্(DOS)-এ আমার
করা বাংলা বর্ণমালা
বেসিক(BASIC-- a simple high-level computer
programming language, formerly widely used.
origin 1960s: acronym from Beginners' All-purpose Symbolic
Instruction Code)কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগোজ দিয়ে আরও কিছু
দূর এগোলাম, কিন্তু তা বড়ই অপূর্ণ মনের বাসনা তাতে পূর্ণ হল না
ডস-এ
আমার করা বাংলা কিবোর্ড
এখানে লেখা নমশ্কার(নমস্কার) কথাটিও কিন্তু একটি ‘কি’-প্রেস
দিয়ে করা যেত লম্বা লাইনদুটিও এক-একটি কি-প্রেস খানিকটা মজা, খেলার ছলে এসব পরীক্ষা
নিরীক্ষা চলছে তখন কী করা যায়, না-যায় তা দেখার চেষ্টা এসব এক-একটা বিশাল প্রোগ্রাম, ছাপার দশ-বারো পাতা
চলতে
লাগল আমার কাজ কিন্তু শেষ অবধি যে তা কিছু একটা দাঁড়াবে, সে আভাস পাচ্ছিলাম না
নতুন নতুনভাবে চেষ্টা করতে লাগলাম ভাবনা এই-- হোক বা না-হোক চেষ্টাটা তো করে যাই
আর তখন সত্যি কথা বলতে কী কম্পিউটার আমার একটা নেশার মতো হয়ে দাঁড়াল কম্পিউটারের বিভিন্ন
বইপত্র পড়ে বুঝবার চেষ্টা করছি কীভাবে পুরো সফল হওয়া যায়
ডস্-ভিত্তিক
বাংলা হরফে লেখা ০১/০১/১৯৯৮
১৯৮৫-তে
উইন্ডোজ এলেও আমার কাছে সহজলভ্য ছিল না তবু আমার কাজ থেমে ছিল না তৈরি হল কয়েকটি
নন-ইউনিকোড ফন্ট কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটল না কারণ সে ব্যবস্থায় একজনের ফন্ট
অন্যের কম্পিউটারে পড়া যায় না, পড়তে হলে দুজনের একই ফন্ট থাকতে হবে ব্যাপারটা
অবশ্য ফন্টের ‘কোড’ সম্পর্কিত, যা পরে আন্তর্জাতিকভাবে গঠিত সংস্থা “ইউনিকোড
কনসোর্টিয়াম”(১৯৯১) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং তা পৃথিবীর সকল ভাষা ও সকল হরফ,
প্রতিটি বর্ণের জন্য প্রযোজ্য প্রথম দিকে বাংলায় “ৎ” লেখার ব্যবস্থা ছিল না, কারণ
এর জন্য কোড বরাদ্দ ছিল না পরে নানা উদ্যোগে কোডের মধ্যে ‘ৎ’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে (হেক্সা
ডেসিম্যাল=U+09CE তথা ডেসিম্যাল=2510)
পর
পর নানা বিচিত্র গঠনের একাধিক নন-ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করে ফেললাম উইন্ডোজ আসাতেই এটা করা আমার পক্ষে সম্ভব
হয়েছে নয়তো ডস্-এ সেটা আদৌ করা যেত কিনা সন্দেহ
এবার
সেই ফন্ট ব্যবহার করে আমার নিজের কিছু লেখালিখি চলতে লাগল দু-একটি পত্রিকায় সেসব
লেখা ছাপানো হল তবু কিন্তু খুশি হতে পারিনি, কারণ এই ফন্টের কোড ইংরেজি কোডকে
কাজে লাগিয়ে করতে হয় এতে অন্য যারা বাংলা ফন্ট(font / fount ) তৈরি করেছেন তাঁদের
নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী সে সব ইংরেজি কোড ব্যবহারের সুবিধা ছিল, আর এর ফলে একজনের
লেখার সঙ্গে অন্যের লেখার মিল থাকত না যদি কপিপেস্ট করা হত তবে একই ফন্ট না থাকার
জন্য যেখানে কপিপেস্ট করা হল সেখানে কিছু ছোটো ছোটো চৌকো বাক্স দেখা যেত, কিংবা
পড়তে গেলেও একই ব্যাপার ঘটত সে ভারী বিরক্তিকর ব্যাপার এবং প্রয়োগেরও সীমা আপনিই
নির্ধারিত হয়ে যেত কিন্তু কীইবা করার আছে?
অনেক
পরে একটি সেমিনারে একজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ বি বি চৌধুরি(B B Chowdhury)
‘ইউনিকোড ফন্ট’ তৈরি করার কথা বললেন খটকা লাগল এটা প্রায় অপরিচিত শব্দ
গেলাম অন্য এক বিশেষজ্ঞের কাছে, জানতে চাইলাম ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করব কিনা? যদিও
ইউনিকোড ফন্ট সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই ছিল না তিনি জানালেন দরকার নেই যা আছে
তাতেই চলবে কিন্তু সে কথায় আমার সন্দেহ গেল না, মন ভরল না
পরে
গেলাম অন্য এক বিশেষজ্ঞের কাছে(বিশ্বরূপ ভৌমিক),
তিনি বললেন, ইউনিকোড ফন্টই তৈরি করতে হবে তিনি নিজে একাধিক গঠনের ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করেছেন ফন্টের একটি উচ্চ কারিগরি রীতি-প্রকৃতির নাম হল ‘ইউনিকোড’ ইউনিকোড কথাটির অর্থ হল ‘ইউনিক কোড’ পৃথিবীর সকল ভাষার প্রতিটি হরফের জন্য সুনির্দিষ্ট কোড এটি প্রবর্তন করে আন্তর্জাতিক ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম এটিই সর্বান্তিক ফন্টকোড ব্যবস্থা যেমন ‘ৎ’ -এর কোড হেক্সা ডেসিম্যাল=U+09CE তথা ডেসিম্যাল=2510
তিনি বললেন, ইউনিকোড ফন্টই তৈরি করতে হবে তিনি নিজে একাধিক গঠনের ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করেছেন ফন্টের একটি উচ্চ কারিগরি রীতি-প্রকৃতির নাম হল ‘ইউনিকোড’ ইউনিকোড কথাটির অর্থ হল ‘ইউনিক কোড’ পৃথিবীর সকল ভাষার প্রতিটি হরফের জন্য সুনির্দিষ্ট কোড এটি প্রবর্তন করে আন্তর্জাতিক ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম এটিই সর্বান্তিক ফন্টকোড ব্যবস্থা যেমন ‘ৎ’ -এর কোড হেক্সা ডেসিম্যাল=U+09CE তথা ডেসিম্যাল=2510
এর কোনও ব্যত্যয় নেই, যিনিই বাংলা ইউনিকোড ফন্ট
তৈরি করবেন তাঁকেই ‘ৎ’-এর কোড হিসেবে এই কোডটিই ব্যবহার করতে হবে, ইচ্ছে মতো কোড
নির্বাচন করা যাবে না এটি ফন্ট তথা কম্পিউটার জগতে এক বৈপ্লবিক ব্যবস্থা অগ্রগতি
তো বটেই এতে যে-কেউ বাংলা ইউনিকোড ফন্টে লিখলে তা অন্যের কম্পিউটারে কপিপেস্ট করা
যাবে, কোনও সমস্যা হবে না বাংলা যেখানেই লেখা হোক, তা পড়তে কোনও বিকৃতি বা
ব্যতিক্রম হবে না আমি যদি ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে লিখি তা “বৃন্দ”(সিস্টেম ফন্ট)
বাংলা ইউনিকোড ফন্টে পড়তে অসুবিধা হবে না তবে ফন্টের চেহারা/গঠন পালটে যাবে সেই
নির্দিষ্ট অভীষ্ট ফন্টের গঠন অনুসারে অর্থাৎ
যেকোনও বাংলা ইউনিকোড ফন্টে লিখলে তা অন্য যেকোনও বাংলা ইনিকোড ফন্টে অনায়াসে পড়া
যাবে, সমস্যা হবে না কারণ সকল ক্ষেত্রে কোড একই, তাই হরফও এক
তবে
বাংলা ফন্টের কিবোর্ড নিয়ে কিছু বলার আছে পুরানো যুগের বাংলা ফন্টকে এখন নতুন
নামে বলা হয়, নন-ইউনিকোড ফন্ট, সেই ফন্ট তৈরি করার জন্য ইংরেজি ফন্টের কোড ব্যবহার করা হত,
আর তা ব্যবহারে যথেচ্ছ স্বাধীনতা ছিল ফন্ট নির্মাণকারীদের ফন্ট কোডের সঙ্গে বাংলা কিবোর্ড ছিল সরাসরি সম্পর্কিত, ফলে যতগুলি বাংলা ফন্ট তৈরি হত ততোগুলিই বাংলা কিবোর্ডও তৈরি হত আসলে ফন্ট-কোডের সঙ্গে কিবোর্ডের প্রত্যক্ষ
সম্পর্ক ছিল, ফন্ট গঠনের সময়ে কিকোড ইংরেজি থেকে নেবার ফলে যে-যেমন কিকোড ব্যবহার করত তার কিবোর্ড তেমনি হত তাই যত ফন্ট ততো কিবোর্ড
এখন ইউনিকোডের যুগে ফন্ট কোড এবং কিবোর্ডের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই কারণ এই কোড সম্পূর্ণ ভিন্ন, ইংরেজি কোডের সঙ্গে তার কোন মিলই নেই ‘বাংলা কোড’ বাংলার নিজস্ব, সম্পূর্ণ আলাদা বাংলায় ইউনিকোড ফন্ট হবার ফলে বাংলা কোড সুনির্দিষ্ট হয়ে গেল, তাই অবাধ বিচরণের আর সুযোগ ছিল না মাঠটা ঘেরা কিন্তু তার পরিসীমা দিগন্ত অবধি! ফলে মস্ত বড় কাজ যেটি হল, যেকোনও চালু ইউনিকোড ফন্টে লিখলে সবাই-ই তাঁর নিজের কম্পিউটারে তা পড়তে পারবেন
এভাবে তো নন-ইউনিকোড ফন্টের অসুবিধা দূর হল, কিন্তু যেহেতু আগে বাংলায় কোনও সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড ছিল না, তাই ইউনিকোড ফন্টের বিপুল সুবিধারও অনেকটাই ব্যাহত হল, বা রহিত হল নির্দিষ্ট কিবোর্ড না-থাকায় বাংলার জন্য এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড নেই
আমি আমার ব্লগে এনিয়ে আবেদন করেছি বাংলার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড তৈরি করার, যে সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড সকলেই ব্যবহার করবেন এজন্য পশ্চিমবঙ্গের বাংলা আকাদেমি, ঢাকার বাংলা একাডেমি, এবং ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, আসামের শিলচরের বাংলাভাষা প্রতিনিধিগণ, আন্দামান, দণ্ডকারণ্য ও অন্য সকল প্রধান বাংলাভাষী অঞ্চলের বাংলাভাষা-প্রতিনিধি নিয়ে একটি উচ্চস্তরের কমিটি গড়ে তাঁদের দিয়ে একটি এমনি সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড গঠন করা হোক সারা বিশ্বে একটিই ইংরেজি কিবোর্ড, তা হলে বিশ্বের প্রতিনিধি স্থানীয় একটি ভাষা বাংলার জন্য তেমন কেন একটি সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড থাকবে না?
এখন ইউনিকোডের যুগে ফন্ট কোড এবং কিবোর্ডের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই কারণ এই কোড সম্পূর্ণ ভিন্ন, ইংরেজি কোডের সঙ্গে তার কোন মিলই নেই ‘বাংলা কোড’ বাংলার নিজস্ব, সম্পূর্ণ আলাদা বাংলায় ইউনিকোড ফন্ট হবার ফলে বাংলা কোড সুনির্দিষ্ট হয়ে গেল, তাই অবাধ বিচরণের আর সুযোগ ছিল না মাঠটা ঘেরা কিন্তু তার পরিসীমা দিগন্ত অবধি! ফলে মস্ত বড় কাজ যেটি হল, যেকোনও চালু ইউনিকোড ফন্টে লিখলে সবাই-ই তাঁর নিজের কম্পিউটারে তা পড়তে পারবেন
এভাবে তো নন-ইউনিকোড ফন্টের অসুবিধা দূর হল, কিন্তু যেহেতু আগে বাংলায় কোনও সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড ছিল না, তাই ইউনিকোড ফন্টের বিপুল সুবিধারও অনেকটাই ব্যাহত হল, বা রহিত হল নির্দিষ্ট কিবোর্ড না-থাকায় বাংলার জন্য এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড নেই
আমি আমার ব্লগে এনিয়ে আবেদন করেছি বাংলার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড তৈরি করার, যে সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড সকলেই ব্যবহার করবেন এজন্য পশ্চিমবঙ্গের বাংলা আকাদেমি, ঢাকার বাংলা একাডেমি, এবং ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, আসামের শিলচরের বাংলাভাষা প্রতিনিধিগণ, আন্দামান, দণ্ডকারণ্য ও অন্য সকল প্রধান বাংলাভাষী অঞ্চলের বাংলাভাষা-প্রতিনিধি নিয়ে একটি উচ্চস্তরের কমিটি গড়ে তাঁদের দিয়ে একটি এমনি সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড গঠন করা হোক সারা বিশ্বে একটিই ইংরেজি কিবোর্ড, তা হলে বিশ্বের প্রতিনিধি স্থানীয় একটি ভাষা বাংলার জন্য তেমন কেন একটি সুনির্দিষ্ট কিবোর্ড থাকবে না?
পরবর্তী ৪র্থ অংশ দেখুন:
http://banglamagna.blogspot.in/2015/02/blog-post_86.html
সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ২৮/০৪/২০১৬
Play The Real Money Slot Machines - Trick-Taking Game - Trick-Taking
ReplyDeleteHow to Play. Play The Real filmfileeurope.com Money Slot https://tricktactoe.com/ Machine. apr casino If you are searching for septcasino a fun, exciting game to play online, we have you covered.