বামুনের চাঁদে হাত
মনোজকুমার দ. গিরিশ
পর্ব-২
লেখাটি ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’AhanLipi-Bangla14 ফন্টে
পড়লে লেখাটির উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করার লিংক:
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
সঙ্গে
দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14
Default text font setting)
Default
text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
এবং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet
setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top
left) Tools
Options--contents
Fonts and Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-- OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-- OK
-- OK
এবারে
ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
বামুনের চাঁদে হাত৬টির পর্ব-২
হরফ আঁকা তো হল, কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ করা
চাই, নয়তো তা কোনওই কাজে লাগবে না এজন্য লিখনের মূল যে সমস্যা, অর্থাৎ কীভাবে
লিখলে এটা বেশি ফল দেবে, কাজে লাগবে সে চেষ্টা করা হল কোরিয়ার(Korea)
লোকেরা তাঁদের লিখন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করে সহজ সুন্দর করেছেন, গত শতকের
মাঝামাঝি সময়ে তাঁদের দাবি যে, তাঁদের লিখনপদ্ধতি আন্তর্জাতিক ফোনেটিক
এ্যালফাবেটকেও (IPA) ছাপিয়ে গেছে অথচ যা ছিল চিনা লেখার মতো ডাইনে থেকে বাঁয়ে এবং উপর থেকে
নিচে লেখার ব্যবস্থা কোরিয়ার লোকেরা তাঁদের ভাষার আমূল সংস্কার করতে গিয়ে কী
করেছেন তা শোনা যাক--“The
writing problem in the Republic of Korea has been solved, and typewriters have been devised for
writing with a horizontal left-to-right
adaptation of the traditional alphabet. It is supposed to be ‘so highly
scientific in principle that even the
International Phonetic Symbols have to bow before the Korean alphabet’ (John Starr Kim, in ‘Ink-Remington Rand’ vol.
III, no.4, September 1947. Mr. Kim was
one of the technicians who developed the Korean typewriter Keyboard).
Formerly, the alphabet– which was
invented in A.D. 1446 by king She-Jong– was used vertically in columns from
right to left in conglomerated syllabic units imitating Chinese
characters.”(p-34) --The use of vernacular language in education– UNESCO,
Paris-1953.
এত
বছর পরেও, শত বছর পরেও আমরা দ্বিধায় পিছিয়ে পড়ে থাকলে আমাদের গতি এবং অগ্রগতি ব্যাহত হবে
সেটা তো সহজেই বোঝা যাচ্ছে
তবে শুধু যুক্তবর্ণ নিয়ে মাথা ঘামানো নয়,
এর সঙ্গে আছে বাংলা বানান-সমস্যা সে এতই বড় সমস্যা যে তা যেন সমুদ্রের জল মাপতে
চাওয়া চাইলেই কি তা করা সম্ভব?
মনে
পড়ছে ছেলে বেলায়, বাংলায় বানান এমন করে লিখতাম যে, আমার দিদি ঠাট্টা করে বলত, ‘তুই কি
বাংলা বানান তৈরি করবি?’ ভুল হত অবশ্যই, আর লিখতাম একদম যেরকম ভাবে বলি ঠিক
সেরকমভাবে তাতে কি আর বানান হয়? সে নির্বুদ্ধিতা আমার পরিণত বয়সেও তো যায়নি, এখন
৭২ বছর চলছে(২০১৬), এখনও তার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি এই উদ্দেশ্যে নতুন সহজ বানান লিখবার
জন্য একাধিক বাংলা ফন্টও তৈরি করেছি সে যে জলে ধুয়ে মুছে সব সাফ হয়ে যাবে, সে কথা
ঠিক কিন্তু একবিন্দু সত্যও কি মানুষের সামনে তুলে ধরা যাবে না? এনিয়ে তো দেখছি বহু
মানুষই মাথা ঘামিয়েছেন, বই প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে খ্যাত পণ্ডিতব্যক্তিও আছেন,
‘দেশ’-এর মতো খ্যাত কাগজেও তেমন লেখা প্রকাশিত হয়েছে(জগন্নাথ চক্রবর্তী, দেশ, ১১মার্চ,
১৯৭৮) তার চেয়েও বড় কথা বাংলাদেশের(তখন তা পূর্ব পাকিস্তান) শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতেরা কমিটি তৈরি করে অত্যন্ত যুক্তিশীল
আধুনিক প্রস্তাব দিয়েছেন(১৯৪৯) কিন্তু ভবী আর কিছুতে ভোলে না --কিছতেই না
ভবী যদি না ভোলে তবে বাংলাভাষার অগ্রগতি ব্যাহত হবে, স্তিমিত হবে সে কথাও ঠিক এদেশে কিছু মুখের বুলি ছাড়া, বাংলা ভাষার পৃষ্ঠপোষণ করার কোনও রাজনৈতিক উদ্যোগ নেই, ছোটো বড়ো কোনও রাজনৈতিক দলই এব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, নেই কোনও প্রকৃত সরকারি প্রয়াস, অন্তত ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অথচ জাঁদরেল পাণ্ডিত্যে ভাষার সহজ হবার পথে সব রকম বাধার দেওয়াল দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে
ভবী যদি না ভোলে তবে বাংলাভাষার অগ্রগতি ব্যাহত হবে, স্তিমিত হবে সে কথাও ঠিক এদেশে কিছু মুখের বুলি ছাড়া, বাংলা ভাষার পৃষ্ঠপোষণ করার কোনও রাজনৈতিক উদ্যোগ নেই, ছোটো বড়ো কোনও রাজনৈতিক দলই এব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, নেই কোনও প্রকৃত সরকারি প্রয়াস, অন্তত ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অথচ জাঁদরেল পাণ্ডিত্যে ভাষার সহজ হবার পথে সব রকম বাধার দেওয়াল দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে
প্রথমে
পরীক্ষা করে দেখলাম আমি যে-কায়দায় বাংলা বানান করতে চাই তা ছাপাখানায় আদৌ ছাপা
সম্ভব কিনা? অনেককাল পরে দেখেছি সেই কায়দা কিন্তু পণ্ডিতেরাও চেয়েছেন আমি এসব কায়দা
কানুন করার চেষ্টায় যখন পরীক্ষানিরীক্ষা করে বেশ খানিকটা এগিয়েছি তখন চোখে পড়ল যে,
বাংলাদেশে ১৯৪৯-এ ভাষা বিশেজ্ঞদের একটি কমিটি এসব নিয়ে তাঁদের একটি প্রস্তাব
প্রকাশ করেছেন সেই প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা ভাবনার আশ্চর্য মিল দেখে অবাক হলাম, মনে
হল যেন আমি তাঁদের প্রস্তাব দেখেই আমার কথাগুলি বলেছি অন্তত অন্য কেউ আমার
প্রস্তাব দেখলে সে কথাই ভাববে!
বুঝলাম আমি একাই ‘মৌলিকভাবে’ এসব “উদ্ভট” চিন্তা করছি না, এর পিছনে লজিক আছে, নয়তো তা এমনভাবে মিলে যেতে পারে নাতার একটু উদাহরণ দেখা যাক--
বুঝলাম আমি একাই ‘মৌলিকভাবে’ এসব “উদ্ভট” চিন্তা করছি না, এর পিছনে লজিক আছে, নয়তো তা এমনভাবে মিলে যেতে পারে নাতার একটু উদাহরণ দেখা যাক--
১৯৪৯-এ ‘পূর্ববঙ্গ সরকারী ভাষা কমিটি সোপারেশ’ প্রকাশিত
হয় উপরের লিখনটি তার পরে লিখিত
দেশ=দশ,
বেশ=বশ, কেশ=কশ ইত্যাদি এবং দৗশ=দোষ, বৗশ=বোস, কৗশ=কোষ ধরনে লেখা হয় ‘চিত্র সম্পর্কে বিশুদ্ধতার’ না লিখে ‘চীত্র
শম্পক বীশুদ্ধতার’ ইত্যাদি ধরনে লেখার প্রয়াসও দেখা যায়
‘প্রায়’ লেখা হয়েছে ‘প্রায়’, এটি সহজ হবে ‘প্রায়’
লিখলে যদিও এখানে বানান নিয়ে নিশ্চিত সচেতনতা ছিল না, (গ্রহণ=) গ্রহন =গ্রহন লেখা
উচিত ছিল আর কম্পোজে হস্ চিহ্ন বাদ পড়ে গেলে বা সতর্ক না হলে বিপদ হবে, যেমন--শ্রনীহীন=শরনীহীন;
করেন=করনে
প্রশ্ন
তবে বাংলাদেশে(তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে) কেন সে প্রস্তাব কার্যকর হল না? অথচ সে দেশের সরকারি বিশেষজ্ঞ
কমিটিই সে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন বাংলাদেশে বাংলা বানান প্রস্তাব কার্যকর না হবার মূল কারণ হল,
তখন সেটা ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ, দেশটি পূর্ব পাকিস্তান, সে অংশটি বাংলাদেশ হয়েছে তার ২২ বছর
পরে ১৯৭১-এ সেই পূর্বপাকিস্তানে উর্দু চাপিয়ে দিয়ে বাংলাভাষাকে বিকৃত করার সবরকম
চেষ্টা হয়েছে তাই এই নতুন প্রস্তাব, এতই ভিন্ন বানানের কথা বলেছে যে, তাও সেই মুহূর্তে
সেখানকার মানুষের কাছে বাংলাভাষা বিরোধী চক্রান্ত বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক
আর ওদিকে বাংলাভাষাকে বিকৃত করার বিরুদ্ধে, এবং সেখানে উর্দু চাপিয়ে দেবার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে, এই অবস্থায় সেখানে নতুন বানান-প্রস্তাব দিলে, তা এসকল বাংলাভাষা বিশেষজ্ঞকে দেশবিরোধী এবং বাংলাভাষা বিরোধী ‘চক্রান্তকারী’ বলে চিহ্নিত করবে তাই সে প্রস্তাব কাগজেই রয়ে গেল
তা ছাড়া আরও একটি গভীর বিষয় আছে, তা হল, সকল পরিবর্তন বা সংস্কার একবারে করতে চাওয়া তেমন করলে তা আর “বাংলাভাষা” বলে চেনাই যাবে না সেটা কাম্য নয়(যেমন-- ক১ন এলাম ক১ জান১ [কন এলাম ক জান → কেন এলাম কে জানে]-- এই বানান, এবং এর চেয়ে অনেক বেশি ভিন্ন ধরনের বানান মানা সাধারণের পক্ষে সম্ভব ছিল না)
সেদিকটা তাঁরা হয়তো ভেবে দেখেননি বাংলা বানান সংস্কার প্রস্তাবটি তাঁরা স্তরে স্তরে দিলে তা কার্যকর করা সহজ হত, কার্যকর করা সম্ভবও হত সম্ভাব্যতা বিচার করে কোন্টি কখন, কতদিন ধরে প্রয়োগকুশল রাখতে হবে, কার্যকর করতে হবে তা নির্ধারণ করা খুবই জরুরি ছিল সে বিষয়টি কেন তাঁদের চোখ এড়িয়ে গেল তা বোঝা গেল না
আর ওদিকে বাংলাভাষাকে বিকৃত করার বিরুদ্ধে, এবং সেখানে উর্দু চাপিয়ে দেবার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে, এই অবস্থায় সেখানে নতুন বানান-প্রস্তাব দিলে, তা এসকল বাংলাভাষা বিশেষজ্ঞকে দেশবিরোধী এবং বাংলাভাষা বিরোধী ‘চক্রান্তকারী’ বলে চিহ্নিত করবে তাই সে প্রস্তাব কাগজেই রয়ে গেল
তা ছাড়া আরও একটি গভীর বিষয় আছে, তা হল, সকল পরিবর্তন বা সংস্কার একবারে করতে চাওয়া তেমন করলে তা আর “বাংলাভাষা” বলে চেনাই যাবে না সেটা কাম্য নয়(যেমন-- ক১ন এলাম ক১ জান১ [কন এলাম ক জান → কেন এলাম কে জানে]-- এই বানান, এবং এর চেয়ে অনেক বেশি ভিন্ন ধরনের বানান মানা সাধারণের পক্ষে সম্ভব ছিল না)
সেদিকটা তাঁরা হয়তো ভেবে দেখেননি বাংলা বানান সংস্কার প্রস্তাবটি তাঁরা স্তরে স্তরে দিলে তা কার্যকর করা সহজ হত, কার্যকর করা সম্ভবও হত সম্ভাব্যতা বিচার করে কোন্টি কখন, কতদিন ধরে প্রয়োগকুশল রাখতে হবে, কার্যকর করতে হবে তা নির্ধারণ করা খুবই জরুরি ছিল সে বিষয়টি কেন তাঁদের চোখ এড়িয়ে গেল তা বোঝা গেল না
বাংলাভাষা
নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করেছেন যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, তিনি তাঁর নতুন ভাবনা
নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন, সে সব একত্র করে বইও প্রকাশ করেছেন(“কি লিখি”, ১৩৬৩
বঙ্গাব্দ[১৯৫৬খ্রিঃ])[‘তিনি বাংলা বানানে দ্বিত্ব বর্জনরীতির প্রচলন করেন।’--বাংলাপিডিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় জ্ঞান কোষ] বইখানিতে তিনি অনেকগুলি নতুন কথা বলেছেন, তার মধ্যে একটি
প্রস্তাব আমার খুবই যুক্তিসংগত মনে হয়েছে, প্রস্তাবটি হল ইংরেজি(cat, bat, mat-এর) এ্যা-ধ্বনির(æ) বাংলা
লিপিরূপ ব্যাট, ক্যাট, ম্যাট লেখার জন্য তিনি বাংলা য-ফলা আকার ব্যবহার না করে
একটি নতুন চিহ্ন প্রস্তাব করেছেন, আর মূল লিপিরূপটি বলেছেন-- এা
যেমন এক=এাক, এখন=এাখন ইত্যাদি এভাবে করায় তখনকার দিনের হাতে-ছাপাখানার পক্ষেও এটি সুবিধাজনক ছিল ছাপাখানায় সহজে এটি গঠন করা যেত, এবং ছাপা যেত এই লিপিরূপটি আমার খুব পছন্দ হল এটিকে আমি আমার প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্ত করলাম এাক, এাখন, এামন, এাগারো ইত্যাদি লিখলে এর ধ্বনি অনেক স্পষ্ট হয় এবং তা যে এ্যা-ধ্বনি(æ) তাও সহজে বোঝা যায়, ‘এা’ লিখলে এটি যে এ্যা-ধ্বনিই (æ) তা বুঝতে কারও অসুবিধে হয় না
যেমন এক=এাক, এখন=এাখন ইত্যাদি এভাবে করায় তখনকার দিনের হাতে-ছাপাখানার পক্ষেও এটি সুবিধাজনক ছিল ছাপাখানায় সহজে এটি গঠন করা যেত, এবং ছাপা যেত এই লিপিরূপটি আমার খুব পছন্দ হল এটিকে আমি আমার প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্ত করলাম এাক, এাখন, এামন, এাগারো ইত্যাদি লিখলে এর ধ্বনি অনেক স্পষ্ট হয় এবং তা যে এ্যা-ধ্বনি(æ) তাও সহজে বোঝা যায়, ‘এা’ লিখলে এটি যে এ্যা-ধ্বনিই (æ) তা বুঝতে কারও অসুবিধে হয় না
আমি
আমার প্রস্তাবে ‘এা’ গ্রহণ করলাম, তবে এর চিহ্ন হিসেবে লিখলাম-- কেন এমন
করলাম তার কারণ আমার মনে হয়েছে যে বাংলা এগারোটি স্বরবর্ণের দশটির দৃশ্যমান
স্বরচিহ্ন আছে, অ-এর কোনও দৃশ্যমান চিহ্ন নেই এই দশটি স্বরচিহ্ন হরফের চারিদিক ঘিরে
বসানো হয়, কখনও বাঁয়ে( ি, ে), কখনও ডাইনে(া, ী), কখনও দুপাশ জুড়ে(ো, ৌ) এসব করার জন্য প্রাচীন যুগের
মানুষেরা নতুন নতুন চিহ্ন তৈরি করেছেন তাই মূল বর্ণের সঙ্গে সেসবের মিল নেই তাই,
‘এ’-বর্ণলিপির মূল রূপকে যদি স্বরচিহ্নের মধ্যে খানিকটা ধরে রাখতে পারা যায় তাতে
সুবিধেই হবে তাই আমি তার স্বরচিহ্নরূপ দিলাম-- এ=“” এরকম করা কেন? কোলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ‘ভাষা’ নামে একটি ভাষা-বিষয়ক পত্রিকা বের করতেন, সেখানে
আমি ‘ ে ’ চিহ্নটির কাল্পনিক এক বিবর্তন
দেখিয়েছিলাম যদিও সেটা যে সত্যিই তেমনি করেই হয়েছে, তা নয় সেই প্রস্তাবটির মূল
বিষয়টি সংক্ষেপে এমনি--
[ভাষা, মে-অক্টোবর, ১৯৮৩, সম্পাদক--মৃণাল নাথ]
তাই লেখা হবে দেশ=দশ, বেশ=বশ, কেশ=কশ ইত্যাদি চিহ্নটির মূল রূপটি একেবারে প্রথম থেকেই ঘুরিয়ে উলটো করে লেখা চলছে(ে), এবং তা হাতের লেখায়, আর ছাপায় সর্বত্রই সেটি যদি এবার ঠিক করার চেষ্টা হয়, তবে মন্দ হবে না বাংলাদেশের ভাষা বিশেষজ্ঞগণ ১৯৪৯-এ যে “পূর্ববঙ্গ সরকারী ভাষা কমিটি সোপারেশ” পেশ করেছিলেন সেখানে এজন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল ১, অর্থাৎ দেশ=দ১শ, বেশ=ব১শ, কেশ=ক১শ এমনিভাবে লিখতে হবে তাঁরা ঠিক এমনি একই ধরনের চিহ্নই ব্যবহার করেছেন(), শুধু সেকালে হাতে কম্পোজ করার ছাপাখানায় দেখাবার ব্যবস্থা ছিল না বলে তা, ে → = ১ করা হয়েছে তাঁরা চেয়েছিলেন বর্তমানের চালু ‘ ে’ চিহ্নকে ে=১ করে ঘুরিয়ে বসাতে ছাপায় চালু এ-কার(ে) কে ঘুরিয়ে দিলে এমনিই দেখতে হয় --
[ভাষা, মে-অক্টোবর, ১৯৮৩, সম্পাদক--মৃণাল নাথ]
তাই লেখা হবে দেশ=দশ, বেশ=বশ, কেশ=কশ ইত্যাদি চিহ্নটির মূল রূপটি একেবারে প্রথম থেকেই ঘুরিয়ে উলটো করে লেখা চলছে(ে), এবং তা হাতের লেখায়, আর ছাপায় সর্বত্রই সেটি যদি এবার ঠিক করার চেষ্টা হয়, তবে মন্দ হবে না বাংলাদেশের ভাষা বিশেষজ্ঞগণ ১৯৪৯-এ যে “পূর্ববঙ্গ সরকারী ভাষা কমিটি সোপারেশ” পেশ করেছিলেন সেখানে এজন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল ১, অর্থাৎ দেশ=দ১শ, বেশ=ব১শ, কেশ=ক১শ এমনিভাবে লিখতে হবে তাঁরা ঠিক এমনি একই ধরনের চিহ্নই ব্যবহার করেছেন(), শুধু সেকালে হাতে কম্পোজ করার ছাপাখানায় দেখাবার ব্যবস্থা ছিল না বলে তা, ে → = ১ করা হয়েছে তাঁরা চেয়েছিলেন বর্তমানের চালু ‘ ে’ চিহ্নকে ে=১ করে ঘুরিয়ে বসাতে ছাপায় চালু এ-কার(ে) কে ঘুরিয়ে দিলে এমনিই দেখতে হয় --
এমন করে ছাপা যায় কিনা তা পরীক্ষা করতে আমার
পরিচিত ছাপাখানায় গেলাম দুটো ছাপাখানায়--প্রথমে
উত্তর কোলকাতায়, অনেক পরে মধ্য কোলকাতায় দেখলাম ছাপা যাচ্ছে বটে তবে তা দেখতে খুব
ভালো হচ্ছে না কারণ এ-কার ঘুরিয়ে বসালে তা একটু নেমে আসে, ছাপায় সেটা করা খানিকটা
অসুবিধেও তাই ভাবলাম হাতে কম্পোজ করার ছাপাখানার দিন শেষ হয়ে আসছে, ক্রমে
চারিদিকে কম্পিউটারের প্রভাব বাড়ছে ভবিষ্যতে হাতের ছাপাখানা থাকবে না, তাই এব্যবস্থা
কম্পিউটারেই করতে হবে তাই কম্পিউটারে কী করে বাংলা লেখা যায় তারই চেষ্টায় লেগে
গেলাম
সত্যিই,
বামুনের চাঁদে হাত আর কাকে বলে? কিন্তু তবু সেই চাঁদই ধরতে হবে, সেই চেষ্টায় লেগে
গেলাম শিখতে শুরু করলাম কম্পিউটার ব্যবহার সেটা অফিসে সেখানে বেশি কিছু করা
যাবে না, তবে প্রাথমিকভাবে কম্পিউটারের কাজটা তো শিখতে হবে তাই বই পড়ে, অন্যের
কাজ দেখে, কীভাবে করতে হয় তা শুনে একটু একটু করে এগোতে চাইলাম কম্পিউটার
বিদ্যে তো আমার ছিল না কিছুই, কিন্তু শখ আছে পুরো, তাই লেগে পড়লাম এই শিখতে শিখতে এক সময়ে
বন্ধুদের অভিযোগ-- আপনাকে আর টিফিনের সময়ে অফিসের ক্লাবে পাওয়া যাচ্ছে না জনসংযোগ
কমে যাচ্ছে তা বুঝেছিলাম, পাড়ার কিংবা আত্মীয় বন্ধু বান্ধব সংযোগও কমে যাচ্ছিল আমরা
টিফিনের সময়ে ক্লাবে বসে অনেক আলোচনা করতাম, মতামত বিনিময় করতাম খবরের কাগজ
পড়তাম, বই পড়তাম আমাকে না পেয়ে, সে অভাব তাঁরা খুবই অনুভাব করতেন অভিযোগ
অস্বীকার করতে পারলাম না, ঠিকই তো বলেছে
সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ২৫/০৪/২০১৬
No comments:
Post a Comment