লেখাটি ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’AhanLipi-Bangla14 ফন্টে
পড়লে লেখাটির উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে
অনধিকারীর এই চেষ্টায়
চিন্তার অনেক খামতি অবশ্যই আছে
বাংলা নতুন-বানান Bangla Natun-Banan
প্রথম অংশ
(চারটি অংশ)
বাংলা নতুন-বানান
ইন্টারনেটে এটি “বাংলামগ্ন” ব্লগে স্ক্যান করে আপলোড করা হয়েছিল
এবার “বাংলা নতুন-বানান” সংশোধন ও সম্পাদনা করে
সর্বাধুনিক “অহনলিপি-বাংলা১৪” ইউনিকোড ফন্টে পুনর্লিখিত হয়ে
“বাংলামগ্ন” ব্লগেই
আপলোড করা হল ০২/০১/২০১৪
(Recomposed in "AhanLipi-Bangla14" Unicode font)
প্রবন্ধটি সঠিকভাবে পড়তে হলে 'অহনলিপি-বাংলা১৪'
ফন্টেই পড়া দরকার
অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্ট হল-- (১)সেকেন্ড জেনারেশন ফন্ট, (২)স্মার্ট ফন্ট, (৩)বর্ণসমবায় ফন্ট, এবং
(৪)আলটিমেন্ট ফন্ট, (৫)বাংলা ফন্ট টেকনোলজির ফলিত প্রয়োগ
"অহনলিপি-বাংলা১৪" ফন্ট প্যাকেজ বিনামূল্যে
ডাউনলোড করতে হবে নিচের লিংক থেকে :--
Download 'AhanLipi-Bangla14 ' Unicode
Font from the link:
অন্য ফন্টও পাওয়া যাবে, লিংক :--
প্রথম অংশ পৃঃ ১ থেকে
পৃঃ ২৩
চারটি ভাগে মিলে মোট ৭২ পৃষ্ঠা
বাংলা নতুন-বানান
(ফলিত বাংলা)
মনোজকুমার দ. গিরিশ
(মনোজকুমার দীনেশচন্দ্র গিরিশ Manojkumar Dineshchandra Girish)
মণীশ
পার্ক, কোলকাতা, ভারত
☼☼
বাংলাভাষা
ভঙ্গীওয়ালা ভাষা ভাব প্রকাশের এরকম
সাহিত্যিক রীতি অন্য কোনো ভাষায় আমার জানা
নেই
---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(বাংলাভাষা পরিচয়)
বাংলা নতুন-বানান
(ফলিত বাংলা)
মনোজকুমার দ. গিরিশ
খাঁটি বাংলাকে বাংলা বলেই স্বীকার করতে যেন লজ্জা না করি,
প্রাচীন প্রাকৃতভাষা যেমন আপন সত্যপরিচয় দিতে লজ্জা করেনি
---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (বাংলাভাষা
পরিচয়)
বাঙলা-ভাষাটা যে অনার্য ভাষার ছাঁচে ঢালা আর্য ভাষা সেটাও
ক্রমে ক্রমে লোকে মান্বে, আর্যামি যতদিন বাধা দিতে থাক্বে, ততদিন বাঙলার ঠিক
স্বরূপটি আমাদের বের করা কঠিন হবে
(বাঙ্গলা
ভাষা প্রসঙ্গে -- সুনীতিকুমার
চট্টোপাধ্যায়, পৃঃ-৩)
স্কুলের ব্যাকরণ তাঁর(রবীন্দ্রনাথের) একদম পছন্দ ছিল
না তখনকার স্কুলের ব্যাকরণে প্রায় ধরেই নেওয়া হত যে, বাংলা ভাষায় সংস্কৃত থেকে
বানানসুদ্ধ ধার-নেওয়া ‘তৎসম’ শব্দ ছাড়া আর বাকি যা আছে, সে সব শব্দ জাতে খুব নিচু
কাজেই ব্যাকরণে তাদের খবর নেওয়ার দরকার নেই
(রবীন্দ্রনাথ যে ব্যাকরণ
লিখতে চেয়েছিলেন-- পবিত্র সরকার আজকাল, ০৮/০৫/১৯৯৪, পৃঃ-ঘ)
বাংলা ভাষার বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিত পর্যালোচনা করে
বাংলাভাষা ও বানান তথা বাংলা ভাষার
(১)বর্ণমালা সংস্কার, (২)নতুন লিপি নির্মাণ, (৩)বর্ণমালার
সজ্জা,
(৪)লিখন পদ্ধতির সংস্কার, (৫)যুক্তবর্ণ সংগঠন, এবং (৬)লিপির
গঠন
ইত্যাদি সংস্কার করে ফলিত বাংলা
নির্মাণ সম্পর্কিত
প্রস্তাবসমূহ
বাংলা
নতুন-বানান
(ফলিত বাংলা)
মনোজকুমার দ. গিরিশ
চলতি বাংলা চলতি বলেই
সম্পূর্ণ নির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধা নয় হয়তো উচ্চারণে এবং বাক্য ব্যবহারে একজনের
সঙ্গে আর-একজনের সকল বিষয়ে মিল এখনো পাকা হতে পারেনি কিন্তু যে ভাষা সাহিত্যে
আশ্রয় নিয়েছে তাকে নিয়ে এলোমেলো ব্যবহারে ক্ষতি হবার আশঙ্কা আছে
-- রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর(বাংলাভাষা পরিচয়)
বাংলাভাষাকে
চিনতে হবে ভালো করে কোথায় তার শক্তি, কোথায় তার দুর্বলতা, দুইই আমাদের জানা চাই
-- রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর(বাংলাভাষা পরিচয়)
বাংলা
নতুন-বানান
(ফলিত বাংলা)
মনোজকুমার দ. গিরিশ
উৎসর্গ·
যাঁরা বাংলাভাষায় অতি গভীরভাবে নিমজ্জিত
তাঁদের উদ্দেশে
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
মনোজকুমার দ. গিরিশ ৯১/২, ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু রোড,
মণীশ পার্ক
কোলকাতা -- ৭০০ ০৩৯
বাংলা নতুন-বানান
(ফলিত বাংলা)
মনোজকুমার দ. গিরিশ
অগ্রগত
বাংলাভাষার গতি ও সমুন্নতিকে দ্রুত ও স্থিরনিশ্চিত করার জন্য, এবং বাংলাভাষাকে সকল
দিক দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর করে তোলার জন্য, বাংলা বানানকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে
হবে এ জন্য কতকগুলি সংস্কার-কাজ করা দরকার এবং কতকগুলি নিয়মও বেঁধে দেওয়া দরকার, যে-নিয়মগুলি অনুসরণ করে বাংলা
নতুন-বানান(ফলিত বাংলা) লেখা হবে
নতুন-বানান(ফলিত বাংলা) লেখা হবে
ভাষার গতি
প্রকৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য বজায় রেখে বাংলাভাষার সংস্কার করা দরকার
উচ্চারণমূলক করে-- অর্থাৎ বিবর্তনমূলক করে, বিবর্তনমূলক ধারার সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা
করে, তথা বিবর্তনের সহজ ও স্বাভাবিক ধারার দিকে বিশেষ লক্ষ রেখে, সংস্কারমূলক পথে,
যুক্তিগ্রাহ্য বিপ্লবাত্মক পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সংস্কার কাজ করতে হবে নতুন-বানান
রীতিতে বাংলা বানান নির্দিষ্ট হয়ে যাবে, ফলে বানানে ভুলের আশঙ্কা থাকবে খুবই কম
বিদেশি
শব্দের সঠিক উচ্চারণ কী, তা নিয়ে অকারণ খুব বেশি মাথা ঘামানোর দরকার নেই যেটা
বাংলায় চলে গেছে, কিংবা, যা বাঙালির জিভে আসে, সেটাই সেই বিদেশি শব্দের বাংলা উচ্চারণ
এক ভাষার শব্দ অন্যভাষায় ১০০ শতাংশ সঠিকভাবে প্রতিবর্ণীকরণ করা কঠিন, এবং
উচ্চারণও এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষাভাষীদের জিভে পুরোপুরি আসে না সে চেষ্টায় অকারণ
শ্রম ব্যয় হয় মাত্র কারণ কোনও ভাষাই শতকরা ১০০ ভাগ উচ্চারণ অনুযায়ী লেখা যায় না
উচ্চারণের প্রতিটি বাঁক ও ঝোঁক অতি নিখুঁতভাবে ধরে রাখতে পারে লিপির সেই অসীম
ধারণক্ষমতা নেই
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
বাংলা
বানান সংস্কার -- যা প্রকৃত এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বলে
বিবেচিত হতে পারে সেরকম প্রধান দুটি প্রস্তাব হল-- ‘পূর্ববঙ্গ
সরকারি ভাষা কমিটি’-র উত্থাপিত প্রস্তাব(১৯৪৯), এবং ডঃ জগন্নাথ চক্রবর্তী ‘দেশ’
সাহিত্যপত্রে(১৯৭৮) দেওয়া প্রস্তাব অন্য যে পাঁচটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তাব
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ নানা মান্য সংগঠন নানা সময়ে দিয়েছেন, তা প্রকৃত-অর্থে
বাংলা ভাষা ও বানান সংস্কার নয়
অবশ্য সে
প্রকৃত সংস্কার-প্রস্তাব দুটি পড়ে পাঠকদের মনে হয়তো এই ধারণা হবে যে, কাল সকাল
থেকেই এমনি করে বাংলা বানান লিখতে হবে ফলে সকলেই মনে মনে আতঙ্কিত হবেন এই ভেবে
যে, এ তো বাংলা বলে আর প্রায় বোঝাই যাবে না কেমন করে এসব সাধারণ ব্যবহারে আনা
যাবে? আসলে এসব হল বাংলা বানান সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ অবস্থা-- পরিণত অবস্থা(যেমন শূককীট থেকে প্রজাপতি
হয়, সেটা না জানলে ব্যাপারটা বোঝা কঠিন) এসব একদিনে, একবারে -- কাল সকাল থেকেই চালু করার প্রয়োজন নেই এর অতি সামান্য ভগ্নাংশ মাত্র
নিয়ে কাজ শুরু হবে এবং পুরো প্রকল্পটি ক্রমে ক্রমে বাস্তবায়িত করার সময়পর্ব হবে
দীর্ঘ ২৫ বছর প্রথমে একটি মাত্র সামান্য সংস্কার প্রক্রিয়া চালু করা হবে, এবং
পাঁচ বছর ধরে জনজীবনে সাধারণ লেখাপড়ায় অনুশীলিত হবে জীবনের তাল ও লয়ের সঙ্গে
মিলিয়ে অভীষ্ট সংস্কারটি আত্মস্থ হলে তবেই পরবর্তী পরিবর্তনের কাজে হাত দেওয়া হবে
কোনওরকম
মানসিক চাপ নয়-- বরং প্রয়োজনটি অনুভব করতে হবে, এবং অতি
ধীরে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মধ্যমে তা বাস্তবায়িত করতে হবে শুরুর সামান্য সংস্কারটি
কী হতে পারে? ধরি ই/ঈ (এবং স্বরচিহ্ন ি/ী) দুটির মধ্যে একটিকে তথা ই-স্বরবর্ণটি
চালু রেখে অন্যটি(তথা ঈ বর্ণটি) বর্জন করা হল কারণ ‘ই’ হল বাংলায় চালু বহুল
ব্যবহৃত স্বরবর্ণ(‘বাংলা বর্ণ তুলনাংক’ দ্রষ্টব্য)
বাংলা নতুন-বানান -২
বাংলা
মৌলিক সাতটি স্বরবর্ণের একটি হল-- ই স্বরবর্ণ
চিহ্ন হিসেবে ই=ি ব্যবহার চলছে, কিন্তু ঈ=ী বর্জিত হবার ফলে ী-স্বরচিহ্নটি মুক্ত
হচ্ছে, তাই ঈ বর্জনের পরে ই=ী চিহ্ন ব্যবহার করা হবে এতে স্বরচিহ্নটি ব্যবহারের
উচ্চারণগত অবস্থানও স্পষ্ট হবে, এবং হাতে করে লেখা, টাইপ করা ও কম্পোজ করার
ব্যবহারিক সুবিধা বাড়বে কি=ক+ি, কিন্তু ই-স্বরচিহ্নের(ি) উচ্চারণ ক-এর পরে তথা
সর্বদা সহযোগী বর্ণের পরেই হয় তাই মুক্ত ী-স্বরচিহ্নটি প্রয়োগ করে লেখা হবে ক+ই=
কী (ই=ী গ্রহণ করে) অন্যসকল ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গেও কেবলমাত্র ী-চিহ্নটিই বসবে
এই ছোট্ট অণু
সংস্কার-প্রক্রিয়া দীর্ঘ পাঁচ/দশ বছরে সম্পূর্ণভাবে আত্মস্থ হলে তবেই পরবর্তী
অণু-সংস্কার প্রক্রিয়ায় হাত দেওয়া হবে একদিনে হঠাৎ করে
পুরো বাংলাভাষাকে পালটে ফেলার কোনও পরিকল্পনা নেই, এবং তেমন কোনও চেষ্টা করাও হবে
না
বাংলাভাষা
সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ রূপটি কেমন হবে তা বাংলাভাষাভাষী সকল মানুষের কেবলমাত্র গভীর বিবেচনা ও অনুধাবনের জন্যই এখানে বিস্তারিত
প্রকল্পটি উপস্থিত করা হল, কাল সকালেই এটি চালু করার কথা বলার জন্য তা অবশ্যই নয়
বাংলা
নতুন-বানানের নীতি ৮টি(১-৮), সূত্র ৬টি(৯-১৯), এবং এগুলি ব্যাখ্যা
করা হয়েছে ৮টি অনুচ্ছেদে(১৫-২২)
বাংলা নতুন-বানানের নীতি
ন-১ বাংলা নতুন-বানান হবে বাংলা উচ্চারণ অনুসারী এজন্য যথাসম্ভব উচ্চারণ অনুযায়ী বানান লিখতে হবে প্রয়োজনে এজন্য কিছুকাল পরে পরে বানান সংস্কার করা দরকার
ন-২ বানান হবে সরল
এবং যথাসম্ভব বিকল্পহীন(সাধারণ সূত্র হিসেবে কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে কোন বিচ্ছিন্ন
বা একক বানানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পৃথক বানানও হতে পারে)
ন-৩ বাঙালির
জিভে যা মান্য বা প্রমিত(স্ট্যান্ডার্ড) উচ্চারণ, সেই রকমই বানান লেখা হবে-- সে-শব্দ সংস্কৃত, প্রাকৃত বা অন্য
প্রদেশীয়, দেশি বা বিদেশি, বা অন্য যা-ই হোক
ন-৪ যেখানে “যুক্তধ্বনি”
হবে, সেখানে স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ হবে অন্যথায় যুক্তবর্ণ বর্জন করে বা ভেঙে লেখা চলতে পারে এজন্য
বানান-অভিধান তৈরি করতে হবে
ন-৫ বানান হবে
ব্যতিক্রমহীন, এবং বানান লেখার ক্ষেত্রে সমতা ও যন্ত্র ব্যবহারের সুবিধা রক্ষা
করতে হবে, কারণ যান্ত্রিক-মুদ্রণ চালু হবার ফলেই শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে
এক্ষেত্রে সুযুক্তিই হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল ভিত্তি
ন-৬ বাংলা বর্ণমালার
যথাযথ সংস্কার করতে হবে
ন-৭ বাংলা লিখন
পদ্ধতি ও লিপির গঠন সংস্কার করতে হবে
ন-৮ বাংলাভাষা
ও ব্যাকরণের যথাযথ সংস্কার হওয়া দরকার
বানানের
ক্ষেত্রে-- একই বানান লিখে দুই-তিন রকম উচ্চারণ
প্রকাশের চেষ্টা করলে, যেমন-- এক(১=এাক), একুশ, কোন=কোন্,
কোন=কনোও, নব=নব্(Knob), হল=হল্(Hall)-- পাঠকদের পাঠরীতি এবং শব্দ ও বাক্যের
অর্থগ্রাহ্যতার উপরে অনর্থক চাপ সৃষ্টি করা
হয়, এবং পাঠককে বিভ্রান্ত ও উপহসিত করার
আশঙ্কা থাকে, এবং লেখকের পক্ষেও বক্তব্য-বিষয়ের দ্বারা মূল উদ্দেশ্যে পৌঁছানোর
সম্ভাবনা কমে যায়, ও রচনাশৈলীর
অদক্ষতা প্রকাশ পায় তাই বানান স্পষ্ট হবে ‘নব’(নব৹) নাকি তা নব্(Knob) তা স্পষ্ট করতে হবে
বাংলা নতুন-বানান -৩
বাংলা নতুন-বানানের সূত্র
স-৯ বর্ণমালা
বাংলা
বর্ণমালায় থাকবে স্বরবর্ণ-- ৭, এবং ব্যঞ্জনবর্ণ-- ৩৫, এই মোট ৪২টি বর্ণ
স-৯.১
স্বরবর্ণ (৭টি)-- অ আ ই উ এ এা ও
স্বরবর্ণচিহ্ন--
৹ া ি ু ৗ
স-৯.২ ব্যঞ্জনবর্ণ(৩৫টি)-- ক খ গ গ ঙ
চ ছ জ ঝ .
ট ঠ ড ঢ .
ত থ দ ধ ন
প ফ
ব ভ ম
. র ল . শ
. স হ ড় ঢ়
য় ৎ ং ঃ ঁ
বর্ণমালা
বহির্ভূত চিহ্ন-- ্
(হস্)
এর মধ্যে আশ্রয়স্থানভাগী বিকল্প বর্ণ-- ং
ঁ =২টি,
এবং অন্য(হলন্ত) বিকল্প বর্ণ-- ৎ ঃ =২টি
স-১০
উচ্চারণ-অনুযায়ী ব্যবহারের বিধি হিসেবে স্বরবর্ণ-চিহ্নগুলি সবই হরফের ডাইনে তথা
পরে বসবে
স-১১ উচ্চারণ-অনুযায়ী
ব্যবহারের বিধি হিসেবে যুক্তবর্ণের প্রথম বর্ণ/বর্ণদুটি হবে ক্ষুদ্রমাপের, অর্থাৎ
আয়তনে ছোটো, কিন্তু অক্ষত ও পূর্ণাঙ্গ, এবং দ্বিতীয় বর্ণটি সাধারণ পূর্ণমাপের করে
লেখা হবে, এবং বর্ণ দুটি/বর্ণগুলি পাশাপাশি বসবে, উপরেনিচে নয় যুক্তবর্ণ লেখার
জন্য বর্ণের গঠনে কোনও বিকৃতি বা ব্যত্যয় করা চলবে না যুক্তবর্ণ হবে বর্ণ-সমবায়
পদ্ধতির (যেমন-- আড্ডা, ইচ্ছা, গল্প)
স-১২ বর্ণমালার
নতুন সজ্জা হবে, উচ্চারণস্থান অনুযায়ী ধারাবাহিকতা রক্ষা করে
স-১৩
ব্যঞ্জনান্ত বোঝাতে প্রয়োজনে হস্ চিহ্ন(্) ব্যবহার করা হবে
স-১৪
যেখানে দু/তিনটি বানান হয়, সেখানে সহজতর/তম বানানটি গ্রহণ করা হবে
বাংলা নতুন-বানানের নিয়ম ব্যাখ্যা
ব-১৫
বর্ণমালা
ব-১৫.১ স্বরবর্ণ-- ৭টি
অ আ
ই উ এ
এা ও-- কেবলমাত্র এই সাতটি স্বরই বাংলায় মৌলিক
এবং স্পষ্ট ব্যবহৃত স্বর, তাই এই সাতটিই কেবল বাংলা বর্ণমালায় অর্থাৎ স্বরবর্ণে
থাকবে যে-স্বরবর্ণগুলির উচ্চারণ বাংলায় নেই, বা যেগুলি বিকল্প বর্ণ, সে বর্ণগুলি
হল-- ঈ ঊ ঋ
ঐ ঔ এই পাঁচটি স্বরবর্ণ বাতিল
বাংলা নতুন-বানান -৪
প্রচলিত
স্বরবর্ণ-চিহ্নগুলি থেকে বাছাই করে প্রয়োজন মতো স্বরচিহ্ন গ্রহণ করা হবে, বা নতুন
সুবিধাজনক চিহ্ন গ্রহণ করা হবে যেমন:--
স্বরবর্ণ-চিহ্ন
স্বরবর্ণ (৭টি)-- অ আ ই উ এ এা ও
স্বরবর্ণ-চিহ্ন-- ৹ া ী
ু ৗ
স্বরবর্ণ-চিহ্ন যোগ-- ব৹ বা বী
বু ব ব বৗ
প্রচলিত -- ব
বা বি বু বে ব্যা বো
স্বরবর্ণ (৭টি)--
|
অ
|
আ
|
ই
|
উ
|
এ
|
এা
|
ও
|
স্বরবর্ণ-চিহ্ন
|
৹
|
া
|
ী
|
ু
|
|
|
ৗ
|
স্বরবর্ণ-চিহ্ন যোগ--
|
ব৹
|
বা
|
বী
|
বু
|
ব
|
ব
|
বৗ
|
প্রচলিত--
|
ব
|
বা
|
বি
|
বু
|
বে
|
ব্যা
|
বো
|
যেসকল
ক্ষেত্রে অ-ধ্বনি= ৹ (শূন্য চিহ্নের মতো) বোঝাবার বিশেষ প্রয়োজন আছে কেবলমাত্র সেই সকল ক্ষেত্রেই
অ-ধ্বনি চিহ্ন ৹ (শূন্য/ডিগ্রি চিহ্নের মতো, ং-এর ঊর্ধ্বাংশের মতো) বসানো হবে
অন্যত্র তা বর্তমান প্রচলিত প্রথার মতোই ঊহ্য থাকবে
যে
স্বরবর্ণগুলি বাতিল হল, সেগুলির পরিবর্ত হবে নিচের পদ্ধতি মতো:--
পরিবর্ত
স্বরবর্ণ স্বরচিহ্ন
ঈ=ই ী=ী (ি চিহ্নটি বাতিল ই-কার= ী গ্রহণ করা হয়েছে
ঈগল=ইগল, ঈশান=ইশান
আমি =আমী, নীতি=নীতী)
ঊ=উ ূ=ু (ঊন=উন, ঊরু=উরু, ঊষর=উশর,
দূর=দুর, নূপুর=নুপুর, মুহূর্ত=মুহুর্ত)
ঋ=রী ৃ=রী (ঋণ=রীন,
ঋষিকেশ=রীশীকশ,
(হৃষিকেশ=হ্রীশীকশ, ঘৃত=ঘ্রীত, গৃহ=গ্রীহ)
ঐ=ওই ৈ=অই/ওই ঐরাবত=ওইরাবৎ
ঐহিক=ওইহীক,
ৗই খৈল=খইল/খৗইল,
হৈ-হৈ=হই-হই/হৗই-হৗই
ঔ=ওউ ৌ=অউ/ওউ ঔদরিক=ওউদরীক,
ঔষধ=ওউশধ,
ৗউ কৌশল=কৗউশল,
গৌরব=গৗউরব)
স্বরবর্ণ-চিহ্ন ব্যবহারের পদ্ধতি :--
অ= ৹ এবং ‘কিছু নয়’ Nil, তথা উহ্য-- অর্থাৎ অ-চিহ্নটি হবে ডিগ্রি-চিহ্নের ৹ মতো, যা বর্ণের পরে বসবে যেসকল ক্ষেত্রে অ-ধ্বনি= ৹ বোঝাবার বিশেষ প্রয়োজন আছে, কেবলমাত্র সেই সকল ক্ষেত্রেই অ-ধ্বনিচিহ্ন = ৹ বসানো হবে অন্যত্র তা, বর্তমানে প্রচলিত প্রথার মতোই ‘কিছু নয়’ Nil, তথা উহ্য থাকবে অহরহ=অহরহ, কত=কত, গুহ=গুহ, ঘন=ঘন, জড়=জড়, তব=তব, তর=তর, দ্বন্দ্ব= দন্দ, নগ=নগ, ভজ=ভজ, মম=মম, যত=জত, লহ=লহ, ব্রণ=ব্রন৹, শশ=শশ, [এবং হিন্দি উচ্চারণের প্রভাব এড়াতে অমিতাভ=(বিকৃত উচ্চারণ অমিতাভ্ স্থানে) অমিতাভ৹] কম্ল৹(কমিল), কম৹ল্(পদ্মফুল), বাশ্ব৹(ভালো বাসব), বাশ৹ব্(বাসব্=ইন্দ্র)
বাংলা নতুন-বানান -৫
ব-১৫.১(২) আ=
া যেমন আছে তেমনি থাকবে (আদা, টাকা,
ঢাকা)
ব-১৫.১(৩) ই =
ী বর্তমান ঈ-কার(= ী) চিহ্নটি ই-কার চিহ্ন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে
(আমী, দীদী, অশীতি=অশীতী, জীবিকা=জীবীকা,
নীতি=নীতী, নীলিমা=নীলীমা,
পীড়িত=পীড়ীত,
নিমীলিত=নীমীলীত, বিজিগীষা=বীজীগীশা, বিভীষিকা=বীভীশীকা)
ব-১৫.১(৪) উ=
ু যেমন আছে তেমনি থাকবে (মুখ, নুন)
ব-১৫.১(৫) এ =
অর্থাৎ এ-কার চিহ্ন উলটে লিখতে হবে স্বরবর্ণের
“এ” হরফটির নিচের অংশটুকু বাদ দিলে এমনি আকৃতিই হবে (আদেশ=আদশ, ছেলে=ছল,
পরে=পর)
(দ্রষ্টব্য-- ভাষা, মে-অক্টোবর-১৯৮৩, পৃঃ-৪৯-৫৪, বাংলাভাষায় বক্র-আ)
ব-১৫.১(৬) এা = (অর্থাৎ প্রচলিত এ্যা =্যা → ), নতুন প্রস্তাবিত চিহ্নটি “এ”- তে আ-কার জুড়ে তৈরি
এলাকা=এালাকা=
খেলা=খলা, ব্যয়=বয়, ত্যাগ= তগ, ব্যাপক=বপক,
(দ্রষ্টব্য-- ভাষা, মে-অক্টোবর-১৯৮৩, পৃঃ-৪৯-৫৪,
বাংলাভাষায় বক্র-আ )
অর্থাৎ “এ”-বর্ণটির তলার বাহুটি প্রলম্বিত করে বর্ণটির মাথার উপর দিয়ে ঘুরিয়ে নামিয়ে আনতে হবে
ব-১৫.১(৭) ও = ৗ প্রচলিত ও-কার [ো ] বাতিল করে, ঔ-কার চিহ্নের কেবল
শেষ অংশটি নিয়ে নতুন ও-কার তৈরি হয়েছে (কোল=কৗল, গোল=গৗল, ঠোকা=ঠৗকা, ঢোল=ঢৗল)
ব-১৫.২ ব্যঞ্জনবর্ণ --৩৫
ক খ
গ ঘ ঙ
চ ছ
জ ঝ .
ট ঠ
ড ঢ .
ত থ
দ ধ ন
প ফ
ব ভ ম
. র
ল . শ
. স
হ ড় ঢ়
য় ৎ ং ঃ ঁ
বাংলা নতুন-বানান -৬
ক
|
খ
|
গ
|
ঘ
|
ঙ
|
চ
|
ছ
|
জ
|
ঝ
|
.
|
ট
|
ঠ
|
ড
|
ঢ
|
.
|
ত
|
থ
|
দ
|
ধ
|
ন
|
প
|
ফ
|
ব
|
ভ
|
ম
|
.
|
র
|
ল
|
.
|
শ
|
.
|
স
|
হ
|
ড়
|
ঢ়
|
য়
|
ৎ
|
ং
|
ঃ
|
ঁ
|
মোট=৩৫
এই
পঁত্রিশটি(৩৫) ব্যঞ্জনবর্ণ বাংলায় স্পষ্ট ব্যবহৃত হয় এই পঁত্রিশটি(৩৫)
ব্যঞ্জনবর্ণই কেবলমাত্র বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে থাকবে যে ব্যঞ্জনগুলির(৫টির) উচ্চারণ
বাংলায় নেই, বা যেগুলির প্রয়োজনীয়তা নেই, বা যেগুলি বিকল্প, সেগুলি হল-- ঞ
ণ য ব[অন্তঃস্থ ৱ],
ষ এই পাঁচটি বাতিল
যে
ব্যঞ্জনবর্ণগুলি বাতিল হল, সেগুলির পরিবর্ত হবে নিচের পদ্ধতি মতো:--
ব্যঞ্জনবর্ণ পরিবর্ত
ঙ =
ং চোঙ=চৗং, রঙ=রং, সঙ=শং,
কিন্তু স্বরাশ্রিত/স্বরসংযুক্ত হলে-- ঙ হবে
ডাঙর(=ডাঙ৹র),
হাঙর(=হাঙ৹র), বাঙালী, রাঙা
রঙীন,
রঙর
ঞ =
য়ঁ/য় খুঞা=খুয়াঁ, মিঞা=মীয়া/মীয়াঁ,
মিঞাও=মীয়াঁও,
ভুইঞা=ভুঁইয়াঁ
= ন যুক্তবর্ণ
স্থলে
যাচ্ঞা=জাচ্না,
বঞ্চনা=বন্চনা, বাঞ্ছিত=বান্ছীত
অঞ্জন=অন্জন,
ঝঞ্ঝা=ঝন্ঝা, ঞ্যন্ত=নন্ত
ণ = ন ঋণ=রীন,
গণ=গন, পণ=পন, রণ=রন
য = জ যখন=জখন,
যাযাবর=জাজাবর, যুঁই=জুঁই, যেন=জেন,
যোগ=জোগ,
যৌবন=জৌবন
ব(অন্তঃস্থ
ৱ) =
ব বক=বক, বন=বন, ...
বারন, বাশনা, বীচার,বীনয়, বীজ,
বীনা, ব্রীথা, (বৃষ)ব্রীশ৹, বতন,
বশ, বৈরাগী=বৗইরাগী
ষ = শ তুষ=তুশ,
মেষ=মশ, বিষ=বীশ, পাষাণ=পাশান,
ভাষা=ভাশা, ঋষি=রীশী, কৃষি=ক্রীশী, ষোল=শৗলৗ,
ভাষা=ভাশা, ঋষি=রীশী, কৃষি=ক্রীশী, ষোল=শৗলৗ,
ষোড়শ=শড়শ
স
= শ যেখানে
S ধ্বনি হবে, সেখানে স হবে যেমন-- ইসলাম,
বাস,
ব্যাস্, সাফ, সাফাই, সুফী, (সেস=)সস,
সলাম/সালাম,
ইত্যাদি
বাংলা নতুন-বানান -৭
অন্যত্র
সাধারণ ক্ষেত্রে শ হবে বাংলায় আছে প্রায় দেড় লক্ষ শব্দ, এর মধ্যে ‘স’ দিয়ে শুরু
শব্দ আছে প্রায় ৫৪০০টি(৩.৬%শতাংশ) পাশ=পাশ/পাস, সকল=শকল, সব=শব, সবিশেষ= শবীশশ, সংশ্লিষ্ট=শংশ্লীশ্ট,
সমাধান=শমাধান, শাজা, সাত=শাৎ শাদা, শীকী, শীমা, সিশ=শীশ, সুতরাং=শুতরাং, সুদ=শুদ,
শুধী, শুজৗগ,সরু=শরু, সুষমা=শুশমা, শুচি=শুচী, সূচি=শুচী, সুতো=শুতৗ, সূতা=শুতা, সৃজন=স্রীজন,
সে=শ, সেতার=শতার, সেস=সস, সেশন(Session)=সসন, সৈকত=শৗইকৎ সৈনিক=শৗইনীক, সোজা=শৗজা, সৌধ=শৗউধ,
সৌরভ=শৗউরভ, সাঁতারু=শাঁতারু, সিঁড়ি=শীঁড়ী, সিং=শীং
ত-এ হসন্ত তথা হলন্ত
উচ্চারণ কাৎ
খাৎ গৎ চীৎকার, তড়ীৎ পরভ্রীৎ
হলে খণ্ড-ত( ৎ ) হবে=ৎ ফুৎকার,
ভাৎ ম্রীৎ[মাটি] (মৃত=)ম্রীত,
মাৎ
রাৎ শরবৎ শীৎকার, সৎ=শৎ স্যাঁৎ=শ৺ৎ
হঠাৎ
ৎসরু(ছুরির হাতল)=ৎশরু, শ৺ৎশত
ভর্ৎসনা=ভৎশনা
ঃ =
ঃ/হ্ আঃহা/আহ্হা/আহ্হা,
ওহোঃ=ওঃহৗ/ওহ্হৗ/ওহ্হৗ
সঠিক
ধ্বনি বোঝাতে প্রয়োজনে হ্ হবে বাঃ/বাহ্
= বিলোপ যেখানে
উচ্চারণ নেই সেখানে (বিসর্গ=)ঃ তথা হ্ লোপ হবে যেমন-- অপযশঃ=অপজশ, নিসৃতঃ=নীস্রীত,
অন্তঃস্থ
=অন্তস্থ
বাংলা
শব্দ সংক্ষেপের বিসর্গ ঃ হল আসলে কোলন(:) বা বিন্দু ইংরেজিতে এটা ফুলস্টপ এগুলি
বিসর্গ নয় যেমন-- ড/ড./ড৹/ডঃ= ডক্টর, পুঃ/পুনঃ=পুনরায়, বিঃ=বিশেষ্য,
বিঃদ্রঃ= বিশেষ দ্রষ্টব্য, শ্রেঃ=শ্রেষ্ঠাংশে ইত্যাদি
ব-১৫.২.১ বিসর্গ ব্যবহার:--
সকল
ক্ষেত্রেই শব্দ শেষের বিসর্গ বিলোপ হবে
অন্ততঃ=অন্তত,
অম্ভঃ=অম্ভ, অর্চিঃ=অচী অশ্রেয়ঃ=অস্রয়, আপাততঃ=আপাতত, ইতস্ততঃ=ইতস্তত,
ঊর্জঃ=উজ, ঊর্ধ্বাধঃ=উধাধ, একতঃ=একত, ওজঃ=ওজ, জ্যোতিঃ=জৗতী, তপঃ=তপ, তমঃ=তম,
তেজঃ=তজ, নমঃ=নম, পরস্বঃ=পরশ্শ, পুরতঃ=পুরত, বাবাঃ=বাবা/বাবাহ্, ভুবঃ=ভুব,
যজুঃ=জজু, শনৈঃ=শনৗই, শনৈঃশনৈঃ= শনৗইশনৗই, শ্রেয়ঃ=স্রয়, স্রোতঃ=স্রৗত/স্রৗৎ
স্বঃ=শ্শ, স্বতঃ=শ্শত ইত্যাদি
এছাড়া, কতকগুলি
ক্ষেত্রে শব্দমধ্যস্থ বিসর্গ বিলোপ হবে(যুক্তধ্বনির পূর্ববর্তী বিসর্গ)
যেমন-- অন্তঃস্থ=অন্তস্থ, উচ্চৈঃস্বর=উচ্চৗইশ্শর,
উচ্চৈঃশ্রবা=উচ্চৗইস্রবা, দুঃস্থ=দুস্থ, নভঃস্থল= নভস্থল, নিঃশ্রেয়স=নীস্রয়স,
নিঃশ্বাস=নীশ্শাশ, নিঃসৃত=নীস্রীত, নিঃস্ব=নীশ্শ, পিতুঃস্বসা= পীতুশ্শশা,
প্রাতঃকৃত্য=প্রাতক্ক্রীত্ত/প্রাতক্রীত্ত, প্রাতঃক্রিয়া=প্রাতক্ক্রীয়া/প্রাতক্রীয়া,
প্রাতঃপ্রণাম=প্রাতপ্প্রনাম/প্রাতপ্রনাম, প্রাতঃস্নান= প্রাতস্স্নান/প্রাতস্নান,
প্রাতঃস্মরণীয়= প্রাতশ্শরনীয়,
বয়ঃক্রম=বয়ক্ক্রম/বয়ক্রম, বয়ঃপ্রাপ্ত=বয়প্প্রাপ্ত/বয়প্রাপ্ত, বহিঃস্থ=বহীস্থ,
মনঃপ্রাণ=মনপ্প্রান/মনপ্রান, মনঃস্থ=মনস্থ, স্বতঃপ্রবৃত্ত=শ্শতপ্রব্রীত্ত
ইত্যাদি
শব্দমধ্যে
বিসর্গ থাকলে ধ্বনিদ্বৈত ঘটতে পারে-- বিসর্গ থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ধ্বনিদ্বৈত ঘটবেও(বিসর্গের পরবর্তী ধ্বনি-- যুক্তধ্বনি না হলে), সে-সকল ক্ষেত্রে বিসর্গ বর্জিত হয়ে, বিসর্গের
পরবর্তী বর্ণের দ্বিত্ব হবে যেমন--
বাংলা নতুন-বানান -৮
অতঃপর=অতপ্পর,
অধঃপতন=অধপ্পতন, অধঃপাত=অধপ্পাতৎ অন্তঃকরণ=অন্তক্করন, ইতঃপূর্বে=ইতপ্পুব, চতুঃশাল=চতুশ্শাল,
চতুঃসীমা=চতুশ্শীমা, দুঃখ=দুখ্খ, দুঃশাসন=দুশ্শাশন, দুঃশীল=দুশ্শীল,
দুঃসময়=দুশ্শময়, দুঃসহ=দুশ্শহ, দুঃসাধ্য=দুশ্শাধ্ধ, দুঃসাহস=দুশ্শাহশ, নিঃশঙ্ক=
নীশ্শংক, নিঃশব্দ=নীশ্শব্দ, নিঃশেষ= নীশ্শশ, নিঃসঙ্গ=নীশ্শংগ, নিঃসংজ্ঞ=নীশ্শংগ,
নিঃসন্দেহ= নীশ্শন্দহ, নিঃসম্পর্ক=নীশ্শম্পক, নিঃসম্বল=নীশ্শম্বল, নিঃসহায়=নীশ্শহায়,
নিঃসীম=নীশ্শীম, বয়ঃসন্ধি=বয়শ্শন্ধী, মনঃকষ্ট=মনক্কশ্ট, মনঃপূত= মনপ্পুত, মনঃশিলা=মনশ্শীলা,
মনঃসংযোগ= মনশ্শংজৗগ, স্বতঃসিদ্ধ= শতশ্শীদ্ধ ইত্যাদি
ব-১৬
উচ্চারণের সময়, তথা পড়ার সময়--
স্বরাশ্রিত-ব্যঞ্জনগুলির উচ্চারণের কালে, ব্যঞ্জনের উচ্চারণ আগে হয়, এবং স্বরধ্বনি(তথা
স্বরবর্ণ) বা স্বরচিহ্নগুলির উচ্চারণ ব্যঞ্জনবর্ণের পরে হয় তাই লেখার সময়
স্বরচিহ্নগুলিকে ব্যঞ্জনের পরে লেখা হবে-- উচ্চারণের এবং
লেখার সুবিধা ও উচ্চারণগত সাযুজ্য রক্ষার জন্য
স্বরবর্ণ (৭টি)-- অ আ ই
উ এ এা ও
স্বরবর্ণ-চিহ্ন-- ৹ া
ী ু
ৗ
স্বরবর্ণ-চিহ্ন যোগ-- ব৹ বা বী
বু ব ব বৗ
প্রচলিত -- ব বা বি
বু বে ব্যা বো
সর্বত্রই, ক+অ(অ=৹)→ ক৹ লেখার দরকার নেই
বিশেষ প্রয়োজন হলে তবেই অ-এর চিহ্ন (অ=৹
শূন্য) বাহ্যত রাখতে হবে, বা দেখাতে হবে
ব-১৭
যুক্তবর্ণ
যুক্তবর্ণ -- c1C2 =ক্র-- বক্র(বক্র), ল্প--
গল্প
c1c1C2 = ম্প্র-- কম্প্র(কম্প্র), ন্ত্র-- আমন্ত্রন(আমন্ত্রণ)
এখানে, C =
ব্যঞ্জনবর্ণ(consonant),
c1= প্রথমে ব্যবহৃত ব্যঞ্জনবর্ণটি/ব্যঞ্জনবর্ণদুটি, C2= পরে ব্যবহৃত ব্যঞ্জনটি
c1= প্রথমে ব্যবহৃত ব্যঞ্জনবর্ণটি/ব্যঞ্জনবর্ণদুটি, C2= পরে ব্যবহৃত ব্যঞ্জনটি
c1 এবং C2 বর্ণের
আয়তনগত সম্পর্ক মোটামুটি
c1= 2/3C2 হবে (২√৩√ C2 )
c1= 2/3C2 হবে (২√৩√ C2 )
যুক্তবর্ণের
প্রথম বর্ণ আকৃতিতে তথা কেবলমাত্র আয়তনে ছোটো হবে, কিন্তু অক্ষত, ও পূর্ণাঙ্গ, আর
দ্বিতীয় বর্ণ সাধারণ মাপের বর্ণ উভয় বর্ণই তথা বর্ণগুলি অক্ষত ও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায়
পাশাপাশি বসবে অক্ষত বর্ণ হিসেবেই যুক্তবর্ণ গঠনের এই পদ্ধতি হবে বর্ণসমবায়
পদ্ধতি অর্থাৎ উচ্চারণের সময়েও যেমন সাধারণত প্রথম বর্ণের হ্রস্ব উচ্চারণ, এবং
দ্বিতীয় বর্ণের দীর্ঘ উচ্চারণ(তথা স্বরান্ত উচ্চারণ) হয়, তেমনি লেখার ক্ষেত্রেও,
সেই একই নীতি এর ফলে অনুসৃত হবে
ক+ত=ক্ত-- শক্ত, উচ্চারণ শক্ত৹
ন+ধ=ন্ধ-- গন্ধ,
উচ্চারণ গন্ধ৹
স+থ=স্থ-- সুস্থ, উচ্চারণ সুস্থ৹
স+ত+র=স্ত্র-- স্ত্রৗইন উচ্চারণ স্ত্রৗইন৹
=স্ত্র-- অস্ত্র৹, বস্ত্র৹, শাস্ত্র৹
বাংলা নতুন-বানান -৯
যুক্তবর্ণের তথা যুক্তলিপি-র উচ্চারণ বাংলায়
স্বরান্ত হয় সমান্য দু-একটি ব্যতিক্রম আছে--
বাঙ্গলা=(বাঙ্গ্লা=)
বাংলা নয়তো বানান অনুযায়ী এর উচ্চারণ হবে Bangala
ভর্ৎসনা=ভৎসনা(ভর্ৎশনা/ভৎশনা)
এছাড়া, ইংরেজি উচ্চারণের প্রভাবে যেমন-- বালিগঞ্জ৹(প্রায় বালিগঞ্জো) স্থানে
বালিগঞ্জ্, টালিগঞ্জ৹(প্রায় টালিগঞ্জো) স্থানে টালিগঞ্জ্ আর যদি ত-এর ঠিক আগের
ধ্বনিটি অ-অন্তক তথা স্বরান্ত হয়, তবে বাংলায় ত-এর উচ্চারণ বহুক্ষেত্রে স্বরান্ত
হয়(কত, রত, শত) তবে সব সময়ে নয়-- মত/মৎ(অভিমত), (কিন্তু মতৗ-- সদৃশ), শতকরা/শৎকরা, সৎ=শৎ ইত্যাদি
ক গ ছ জ ণ
ন প ব ভ ম র শ হ ড় ঢ়-- ইত্যাদি ১৫টি বর্ণ, শব্দের অন্তে থাকলে, কতকগুলি
ক্ষেত্রে অ-অন্তক তথা স্বরান্ত উচ্চারণ হয়(দ্রষ্টব্য-- এই
লেখকের লেখা, “বাংলা যুক্তবর্ণের প্রকৃতি নির্ধারণ”, দেশ, ০১-০৮-১৯৮৭, ৫৪ বর্ষ, ৪০
সংখ্যা, পৃঃ ৩২-৩৩,
লিংক: http://banglainternational.blogspot.in/2015/05/blog-post.html )
লিংক: http://banglainternational.blogspot.in/2015/05/blog-post.html )
ব-১৭.১ বাংলায় যুক্তধ্বনির ব্যঞ্জনগঠন আছে ৭১টি
ঋ-কার(ৃ)-- (র-ফলা+ই-কার=র্+ি=র্+ী, তথা) রী ধরলে এই
সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৫৬, অর্থাৎ বাংলায় ‘যুক্তধ্বনি’ আছে ৫৬টি মনে রাখতে হবে সকল যুক্তধ্বনিই
হল যুক্তব্যঞ্জন/ যুক্তবর্ণ, কিন্তু সকল যুক্তবর্ণই যদিও যুক্তধ্বনি নয় যুক্তধ্বনিগুলি
সৃষ্টিতে অংশ নেয় ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণ প্রসঙ্গত বাংলায় প্রায় (দুই বর্ণের(২১১), তিন বর্ণের(১৬৮) এবং চার বর্ণের(১৬) সর্বমোট ২১১+১৬৮+১৬= ৩৯৫(তিনশত পঁচানব্বই) যুক্তবর্ণ আছে চার বর্ণের বেশি বর্ণ মিলে যুক্তবর্ণ বাংলায় নেই অন্য ভাষায় অবশ্য আছে
অনুস্বার, বিসর্গ, চন্দ্রবিন্দু যোগে যুক্তবর্ণ আছে(১০০+৫৪+১৩=)১৬৭, দুইয়ে মিলে(৩৯৫+১৬৭=)৫৬২ আর এা(এ্যা)যোগে যুক্তবর্ণ আছে(৩১+৫৩+-- =)৮৪, সুতরাং সকল যুক্তবর্ণ মিলে সংখ্যা দাঁড়ায় (৩৯৫+১৬৭=৫৬২+৮৪=) ৬৪৬টি
অনুস্বার, বিসর্গ, চন্দ্রবিন্দু যোগে যুক্তবর্ণ আছে(১০০+৫৪+১৩=)১৬৭, দুইয়ে মিলে(৩৯৫+১৬৭=)৫৬২ আর এা(এ্যা)যোগে যুক্তবর্ণ আছে(৩১+৫৩+-- =)৮৪, সুতরাং সকল যুক্তবর্ণ মিলে সংখ্যা দাঁড়ায় (৩৯৫+১৬৭=৫৬২+৮৪=) ৬৪৬টি
অর্থাৎ বিশুদ্ধ
যুক্তব্যঞ্জনের/যুক্তবর্ণের(৫৬/৩৯৩=) ১৪.১৮% শতাংশ যুক্তধ্বনি, এবং বাংলায়
যুক্তব্যঞ্জনের/যুক্তবর্ণের ব্যবহার হল মোট বর্ণ ব্যবহারের ৮.২২৪% শতাংশ বিশুদ্ধ
যুক্তবর্ণ হল, মোট যুক্তবর্ণ ব্যবহারের ৩৯৫/৬৪৬=৬১% শতাংশ এা-ব্যবহার বাদ দিয়ে তা
হবে ৩৯৫/৫৬০= ৭০.৫%
সংখ্যার এই
হিসেবই যে চূড়ান্ত এ কথা বলা যাবে না কিছু হেরফের হতেই পারে ভিন্নভাবে বিচার
বিশ্লেষণ করলে
বাংলা
যুক্তবর্ণের বিবর্তন
বাংলা
যুক্তবর্ণের বিবর্তন যেভাবে হয়েছে তার একটি সম্পূর্ণ আনুমানিক চেহারা তুলে ধরা যেতে পারে সময় এবং শ্রম
বাঁচাবার জন্য, সহজে লেখার সুবিধার জন্য-- অনেক হরফ একত্র করে দলা পাকিয়ে মণ্ড হরফ করে প্রাচীন দিনে বাংলা যুক্তবর্ণ
লেখা হত এখনও তা প্রায় সেই একইভাবে লেখা চলছে, কিন্তু এর সরলীকরণ হওয়া দরকার
হাতে করে লেখার সুবিধার জন্য এখানকার সংযুক্ত চ-কে ব-এর মতো করে লেখা হয়
এটি (—ও ) দেখতে যেন উপরে মাত্রা দেওয়া স্বরবর্ণ ‘ও’
এটি (—এ ) দেখতে যেন উপরে মাত্রা দেওয়া স্বরবর্ণ ‘এ’
হাতে করে লেখার সুবিধার জন্য এখানকার সংযুক্ত চ-কে ব-এর মতো করে লেখা হয়
এটি (—ও ) দেখতে যেন উপরে মাত্রা দেওয়া স্বরবর্ণ ‘ও’
এটি (—এ ) দেখতে যেন উপরে মাত্রা দেওয়া স্বরবর্ণ ‘এ’
মতো করে
দুটি বর্ণের মধ্যে তফাত বোঝা কঠিন হত ল-এর মাত্রা আছে, ণ-এর মাত্রা নেই
দুটি বর্ণের মধ্যে তফাত বোঝা কঠিন হত ল-এর মাত্রা আছে, ণ-এর মাত্রা নেই
তাই ষ্+ণ=ষ গঠন বোঝাও কঠিন হত দেখে
এটি ষ্+ঞ
= ষ মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে তা নয়
(ষ্+ণ), অষ্টাদশ শতকে এসে ক্রমান্বয়ে =
= ষ মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে তা নয়
"স্মরণযোগ্য: ঞ-এর
আকৃতিগত প্রভাবেই পঞ্চদশ শতাব্দীর
[ ]
বাংলা নতুন-বানান -১০
এমনিভাবে এই পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা গেল তবে এর সবকিছু সোজাভাবে সহজে ব্যাখ্যা করা যাবে না এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা হওয়া দরকার
এ ব্যাপারে পাঠকদের অস্পষ্টতা কেটে যাবে বিশেষজ্ঞের অভিমত শুনলে। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া তাঁর ‘বাংলা পাণ্ডুলিপি পাঠসমীক্ষা’ [বাংলা একাডেমী:ঢাকা, প্রথম প্রকাশ,ফেব্রুয়ারি-১৯৮৪] গ্রন্থে বলেছেন যুক্তবর্ণের মণ্ডরূপ বা মণ্ডগঠন বিষয়ে “নিজের পছন্দ মতো ‘রূপ’(shape) বের করার দিকে সংশ্লিষ্ট লিপিকরদের নজর ছিল।”(পৃঃ২৬)। “মিতলেখনের দিক থেকে যুক্তবর্ণগুলি একটু বেশি রকম দরকারি বলেই মনে হতে পারে। কারণ, বাংলালিপির ধারণ ক্ষমতা এ যুক্তবর্ণগুলির বদৌলতে অনেকখানি বেড়ে যায়। ... সংশ্লিষ্ট হরফগুলির ধারক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া অধিকাংশ যুক্তবর্ণই বস্তুত আমাদের কাছে অস্পষ্ট হলেও আমরা অবলীলাক্রমে সেগুলির ব্যবহার করি। সাধারণত আমাদের মনে এ নিয়ে কোন বিতর্ক জাগে না, কিংবা জাগলেও আমরা তা নিবৃত্ত করে রাখি। ... পরবর্তী কালে সেগুলিই যে দ্রুতলিখন প্রবণতায় অস্পষ্ট হয়ে গেছে; তা বলা যায়। ... এসব যুক্তবর্ণ আজকে যে অবস্থায় এসে আমাদের হাতে ধরা দিয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে জানতে হলে অথবা সেগুলির অন্তর্নিহিত বর্ণসমূহের অবয়ব সঠিকভাবে শনাক্ত করতে হলে, আমাদের আজকের দিনের বাংলা বর্ণমালার মূল হরফ অবয়বকে মাপকাঠি হিসেবে ধরে নিলে চলবে না। ... অধুনা প্রচলিত হরফদেহে এগুলির সন্ধান করতে যাওয়া শুধু যে ফলপ্রদ নয়, তা-ই নয়; রীতিমতো ভ্রান্তিজনকও বটে। সেই সঙ্গে এ প্রয়াস রীতিমতো গোঁজামিলের।... প্রচলিত যুক্তবর্ণ সম্পর্কে আরও একটি কথা বিশেষভাবে বিবেচ্য। সে হল:--এগুলি একই যুগে একই সময়ে গঠিত হয়েছিল, এমন নয়; বরং বিভিন্ন যুগে ও বিভিন্ন সময়ে গঠিত হয়েছিল।”(পৃঃ১৯৮-৯৯)।
এসব এখন এযুগে আর
এমন করে, দলা পাকিয়ে লেখার দরকার নেই
ব-১৭.১(১) শব্দের (অন্যভাবে বললে ‘দল’ তথা Syllable-এর)
প্রথম বর্ণ ব্যঞ্জনান্ত/হলন্ত, অর্থাৎ হস্ অন্তক হলে যুক্তধ্বনির সৃষ্টি হয়
অন্যত্র যেসকল যুক্তধ্বনি হয় তা সাধারণত নিবিড় বা সান্দ্র নয়, অর্থাৎ অবিভাজ্য নয়-- সেগুলিকে পোষাকি তথা অসান্দ্র যুক্তধ্বনি
বলা যায়
শব্দমধ্যে যুক্তধ্বনি থাকলে যুক্তবর্ণ
হবে সান্দ্র যুক্তধ্বনির ক্ষেত্রে যেমন যুক্তবর্ণ লেখা হবে, চাইলে অসান্দ্র
যুক্তধ্বনির ক্ষেত্রেরও তেমনি যুক্তবর্ণের বা যুগ্মলিপির স্বাভাবিক প্রয়োগ চলবে
ক্ল
ক্লেদ-- ক্লদ
(সান্দ্র)
শুক্লর বাড়ি-- শুক্লর বাড়ী (অসান্দ্র)
শুক্ল-- শুক্ল
(অসান্দ্র)
অক্লেশে-- অক্লশ
(সান্দ্র) →
অক্-লেশে
এভাবে পড়লে অসান্দ্র
ভ্র
ভ্রমণ-- ভ্রমন(সান্দ্র)
বিভ্রম-- বীভ্রম(বী-ভ্রম=সান্দ্র,
বীভ্-রম= অসান্দ্র দু-রকমই হয়)
এখানে সান্দ্র ভ্র=ভ্র যুক্তধ্বনিটি পূর্ববর্তী
ধ্বনি
(বি-)র সহায়তায় অসান্দ্র হয়ে উঠেছে বীভ্-রম
শুভ্র-- শুভ্র(শুভ্-র)
--অসান্দ্র
উদ্ভ্রান্ত--উদ্ভ্রান্ত-- প্রথম অংশ-- উদ্-ভ্রা=(ভ্রা)
সান্দ্র+দ্বিতীয় অংশ--ন্ত= অসান্দ্র
বাংলা নতুন-বানান -১১
ব-১৭.১(২) যুক্তবর্ণের উচ্চারণ
স্বরান্ত হবে(তথা, অ-কারান্ত হবে)
জন্ম-- (জন্ম) উচ্চারণ -- জন্ম৹
পদ্ম-- (পদ্দ) “ --
পদ্দ৹
পুত্র-- (পুত্র) “ --
পুত্র৹/পুৎর৹
এখানে এবং অন্যান্য স্থানে, অ-চিহ্ন ৹ যখন দেখাবার দরকার নেই, তখন
অ-চিহ্ন(৹) দিতে হবে না যেখানে যেখানে অ-চিহ্ন(৹) বিশেষভাবে দেখাবার দরকার
আছে, কেবলমাত্র সেখানেই
অ-চিহ্ন ৹ দেখাতে হবে (উচ্চারণ হবে--
অমীতাভ৹[অমিতাভ্ নয়], দ্রোণ=দ্রৗন৹[ন্ নহে],
বন্ধ৹ [ধ্ নয়])
ব-১৭.১(৩) যুক্তধ্বনি ছাড়াও প্রচলিত
যুক্তবর্ণ তথা যুক্তলিপি-স্থানে প্রয়োজনে যুক্তবর্ণ লেখা এবং নতুন যুক্তবর্ণ তৈরি
করে নেওয়া যেতে পারে কিন্তু যুক্তবর্ণ গঠন, নতুন রীতি অনুযায়ী করতে হবে, অর্থাৎ যুক্তবর্ণ লিখতে
গিয়ে বর্ণের কোনও ব্যত্যয় বা বর্ণবিকৃতি ঘটানো চলবে না ভ্লাদীমী, খ্মর,
ফ্লট, নীৎস/নীৎজ(বানান নীত্স বা নীত্জ নহ), ক্নুট হমসুন, বা এমনী সব শব্দ সাম্প্রতিক কালে আনন্দবাজার পত্রিকা যেভাবে
ভ+ল=
(ভ্ল) লিখছে তা করা ঠিক নয় প্যাঁচানো
নিষেধ
এ জন্যই সংক্ষিপ্ত ধ্বনি তথা ক্ষুদ্রধ্বনির জন্য ক্ষুদ্রবর্ণ ব্যবহার করা
হবে, অর্থাৎ ব্যঞ্জনান্ত তথা সংক্ষিপ্ত উচ্চারণ হলে বর্ণটি
ক্ষুদ্র(কিন্তু অবিকৃত, অক্ষত, অখণ্ডিত,
যথাযথ এবং ক্ষুদ্র কিন্তু পূর্ণাঙ্গ) হবে জন্ম, পদ্ম=পদ্দ, ঘর্ম=ঘম, হাস্য=হাশ্শ/হাশ্শৗ
প্রচলিত যুক্তবর্ণের, তথা যুক্তলিপির অদ্ভুত, অপ্রকৃত, অসরল, অ-নিয়ত গঠন
আমরা পছন্দ করছি কেবলমাত্র অভ্যাসের বশে
ব-১৭.১(৪) অন্ত্যে য-ফলায় বর্ণের
দ্বিত্ব হবে খাদ্য=খাদ্দ, বন্য=বৗন্ন,সভ্য=শৗভ্ভ, কিন্তু দার্ঢ্য=দাঢ(দাঢ৹), অর্থাৎ যুক্তবর্ণ/যুক্তলিপির তৃতীয় বর্ণ য-ফলা(র ঢ য) হলে দ্বিত্ব হবে না,
তাই ব্যবহারে দেখাবারও দারকার নেই শুরুতে য-ফলা হলে উচ্চারণ অনুসৃত হবে
ত্যক্ত=তক্ত, দ্যূত=দ্দুৎ, ব্যঞ্জন=বন্জন,
ব্যয়=বয়, স্যন্দন=শন্দন/শন্দন, শ্যন্দন=শন্দন/শন্দন
বাংলা
নতুন-বানান -১২
১৭.১(৫) একটি শব্দে পরপর তিনটি, বা তার বেশি স্বরচিহ্ন-বিহীন
হরফ/অক্ষর/বর্ণ/লিপি থাকলে প্রয়োজনবোধে সেখানে স্বরচিহ্ন ৹
তথা অ-ধ্বনি চিহ্ন এবং/বা হস্ চিহ্ন( ্ ) প্রয়োগ করে
উচ্চারণ সহজবোধ্য করতে হবে স্বরচিহ্ন-বিহীন বেশি হরফ পাশাপাশি থাকলে পড়তে অসুবিধা
হয় পাশাপাশি বেশি হরফ থাকলে, চোখের
এক দৃষ্টিপাতে তথা এক ঝলকে পড়ে ফেলার সীমা (স্ফার) অতিক্রম করে যেতে পারে ফলে পড়া
থমকে যাবে, এবং সেই অংশটুকু ধরে ধরে বানান করে পড়তে হবে,
নয়তো উচ্চারণ ভুল বা ভুল পড়া হয়ে যেতে পারে, এতে
পড়ার টাইম-ইকনমি বা সময়সাশ্রয় কমে যাবে কারণ পাশাপাশি অবস্থিত স্বরচিহ্নহীন এবং
একই আয়তনের অনেক হরফ চোখের এক ঝলকে একত্রে দেখার আমাদের ক্ষমতা(স্ফার) বেশি নয়,
বিশেষকরে হরফগুলি যখন স্বরচিহ্নহীন হয়, তখন এই
অসুবিধা বেশি হয়(অনবতরণ, অনবধান, নবজলধরপটল)
আসলে সেসময়ে স্বরচিহ্নগুলি দিকচিহ্নের কাজ করে(Demarcation)
[এ কারণেই ছাপা বই থেকে পড়ার চেয়ে, সেটাই হাতে করে লিখে পড়লে
অনেক তাড়াতাড়ি মনে রাখা যায়-- মুখস্থ হয় হাতের লেখায় নানা
দিকচিহ্ন তথা কাটাকুটি, ভুল মোছার দাগ, ফাঁক ইত্যাকার ল্যান্ডমার্ক
থেকে যায়!] তাছাড়া, বহুক্ষেত্রে বাংলা শব্দে সাধারণত দুটি
দুটি করে (কখনও-বা একটি) ধ্বনি নিয়ে দল(Syllable) তৈরি হওয়ার
রেওয়াজ পাঠ অভ্যাসও খানিকটা সেইভাবেই তৈরি, যেমন-- বন্ধন=বন্-ধন্, আলগা(আল্গা)=আল্-গা, মাকড়সা=
মা-কড়্-সা, গরম=গ-রম্, অল্প=অল্-প
উপযুক্ত চিহ্নাদি ব্যবহার না করার ফলে উচ্চারণে অনেক সময় বিভ্রান্তি দেখা
দেয়, যেমন-- অনমনীয়(অ-নমনীয়)=অন-মনীয়,
এখানে অ-নমনীয়(‘অ’-এর
পরে সংযোগ চিহ্ন বা হাইফেন দিয়ে) লিখলে ভুলের সম্ভাবনা কমে এমনিভাবে, অনবধানতা(অন-অবধানতা)=
অ-নব-ধানতা/অনব-ধানতা হয়ে যেতে পারে বলে, অন-অবধানতা লিখতে হবে তেমনি অনবতরণ
(অন-অবতরণ)= অ-নব-তরণ/অনব-তরণ হয়ে যেতে পারে ‘বলা-ই বাহুল্য’ শব্দবন্ধ লেখার কালে “বলাই” না লেখাই ভালো
অ-নব-ধানতা/অনব-ধানতা হয়ে যেতে পারে বলে, অন-অবধানতা লিখতে হবে তেমনি অনবতরণ
(অন-অবতরণ)= অ-নব-তরণ/অনব-তরণ হয়ে যেতে পারে ‘বলা-ই বাহুল্য’ শব্দবন্ধ লেখার কালে “বলাই” না লেখাই ভালো
ব-১৭.২.১ যুক্তধ্বনির ক্ষেত্র -- ৫৬টি
মনে রাখতে হবে যে, সকল ‘যুক্তবর্ণ’ই যুক্তধ্বনি
নয়
ক-- (কৃ-- কৃত=ক্রীত),
ক্ন-- বাচক্নবী=বাচক্নবী, ক্নুট হ্যামসুন, ক্র--ক্রীত=ক্রীত, ক্ল--ক্লাব,
[ক্ষমা=খমা,
পরীক্ষা=পরীখ্খা] [৪](৩)
-- এখানে ক-প্রয়োগের ক্ষেত্র ৪টি, এর মধ্যে যুক্তধ্বনি
৩টি
খ-- (খৃ-- খৃষ্ট=খ্রীশ্ট),
খ্র-- খ্রীষ্ট/খ্রিস্ট=খ্রীশ্ট, খ্ম--
খ্মের=খ্মর/খেমের [৩] (২)
-- মৗন-খ্মর, খ্মর রুজ বাহীনী, কম্বৗডীয়া)
--তিনটি[৩] ক্ষেত্র, দুটি(২) যুক্তধ্বনি
গ-- (গৃ-- গৃহ=গ্রীহ),
গ্র--গ্রীবা=গ্রীবা, গ্ল--গ্লানি=গ্লানী [৩] (২)
--তিনটি[৩] ক্ষেত্র, দুটি(২) যুক্তধ্বনি
ঘ-- (ঘৃ-- ঘৃণা=ঘ্রীনা),
ঘ্ন-- ঘ্ন(=ঘাতক), ঘ্র-- ঘ্রাণ=ঘ্রান [৩] (২)
--তিনটি[৩] ক্ষেত্র, দুটি(২) যুক্তধ্বনি
ঙ-- ×
চ-- চ্চ(চ্যুত=চ্চুত)=চ্চুত, বীচ্চুত (১)
ছ-- × [ছ্র(উছ্রয়=উছ্ছ্রয়-- উছ্ছ্রয়)=উছ্ছ্রয়(এখানে ছ অসান্দ্র হয় বলে)] (×)
জ-- জৃ-- জৃম্ভন=জ্রীম্ভন,
[অজ্ঞ=অগ্গঁ, জ্ঞাত=গ৺ত, বিজ্ঞান=বীগ্গাঁন/বীগ্গ৺ন(গ এখানে অসান্দ্র)]
(১)
ঝ-- ×
( ঞ )--- ×
ট-- ট্র --ট্রাম=ট্রাম,
ট্রাক=ট্রাক, মেট্রো=মট্রৗ (১)
ঠ-- ×
ড--
ড্র -- ড্রাম=ড্রাম, ড্রাগ=ড্রাগ, ড্রেস=ড্রস (১)
ঢ--
× [দার্ঢ্য= দাঢ=দাঢ(র এখানে
অসান্দ্র)] (×)
(ণ)-- ×
বাংলা নতুন-বানান -১৪
ত--
(তৃ-- তৃণ= ত্রীন)[ত্য--
ত্যক্ত=তক্ত, তক্ত], ত্র-- ত্রিশ=ত্রীশ(=৩০), ত্ব--ত্বক=ত্তক, [ত্র্যম্বক=ত্রম্বক]
[২](২)
থ--
থ্র--থ্রো=থ্রৗ, থ্রিল=থ্রীল, থ্রোট=থ্রৗট (১)
দ--
(দৃ--দৃষ্টি=দ্রীশ্টী), [দ্বন্দ্ব=দন্দ], [দ্ব্যর্থ=দথ/দথ], দ্র--দ্রষ্টা=দ্রশ্টা [২](১)
ধ--
(ধৃত=ধ্রীত), [ধ্বান্তারি=ধান্তারী], ধ্বনি=ধ্ধনী, ধ্ম-- ধ্মাত=ধ্মাত [অধ্যাত=অধ্ধাত],
ধ্র-- ধ্রুব=ধ্রুব [৩](৩)
ন--
(নৃ-- নৃত্ত=ন্রীত্ত[নাট্য, নাচ] নৃত্য=ন্রীত্ত), [ন্যস্ত=নস্ত]
(১)
প--
(পৃ-- পৃথক=প্রীথক), প্র--প্রীতি=প্রীতী, প্ল--প্লাবন=প্লাবন [৩](২)
ফ--
ফ্র-- ফ্রক=ফ্রক, ফ্রাঁসোয়া=ফ্রাসৗঁয়া, ফ্ল-- ফ্ল্যাট=ফ্লট, ফ্লানেল=ফ্লানল
(২)
ব--
(বৃ--বৃত=ব্রীত), [ব্যয়=বয়], (অব্যয়=অব্বয়),
ব্ব--ব্বাবা=ব্বাবা/বাব্বাহ্, ব্র--
ব্রীহি=ব্রীহী,
ব্ল-- ব্লেড=ব্লড [৪](৩)
ভ--
(ভৃ-- ভৃত্য=ভ্রীত্ত), ভ্র--ভ্রমণ=ভ্রমন, ভ্ল-- ভ্লাদিমি=ভ্লাদীমী [৩](২)
ম--
(মৃ--মৃগ=ম্রীগ), ম্র--ম্রিয়মাণ=ম্রীয়মান,
ম্ল--ম্লান=ম্লান
[৩](২)
(য)--
×
র-- [(রী)-- ঋণ=রীন, ঋতু=রীতু,
ঋষিকেশ=রীশীকশ], হৃষিকেশ=হ্রীশীকশ,
হৃদপিণ্ড=হ্রীদপীন্ড,
র্র--বহির্রাজ্য=বহীরাজ্জ (১)
ল--
লৃ--লৃট=ল্রীট (১)
(ৱ)-- × (অন্তঃস্থ ব)
শ--
[শৃ--শৃঙ্গ=স্রীংগ], [শ্চ--পশ্চিম=পশ্চীম], স্ট-- স্টিমার=শ্টীমার, স্ট্রং=শ্ট্রং(স্ট=শ্ট
সর্বদা উচ্চারণ অনুসারে শ্ট হবে), ষ =ষ্ণ-- র্ষ্ণ-- (বার্ষ্ণেয়)=বাশ্নয়, (আদিতে শ্ন হয় না, স্ন হয় তেমনি আদিতে শ্র হয়না
স্র হয় শ্রী সর্বদা স্রি=স্রী প্রায় সর্বত্র শ্ন অসান্দ্র বাশ্নয়= বারশ্নয় লেখা চলে এখানে র অসান্দ্র), [শ্মশান=শশান], [শ্রী=স্রী(স্রী)], শ্ল-- শ্লাঘা=শ্লাঘা, [শ্বাপদ=শাপদ], শ্শ--স্বরধ্বনি=শ্শরধ্বনী (৫)
(ষ)-- ×
[র্ষ্ট-- ধার্ষ্টামো=ধাশ্টামৗ র অসান্দ্র অর্থাৎ
ধারষ্টামো=ধারশ্টামৗ লেখা চলে], [ষ্ট্র--রাষ্ট্র= রাশ্ট্র/রাশট্র] (×)
স--
(সৃ--সৃজন=স্রীজন), স্ক--স্কুল=স্কুল,
স্ক্র-- স্ক্রু=স্ক্রু, স্খলিত=স্খলীত, স্ত-- স্তর=স্তর,
স্ত্র-- স্ত্রী=স্ত্রী, স্থ--স্থূল=স্থুল৹, স্ন=স্নান=স্নান, স্প--
স্পষ্ট=স্পশ্ট, (স্পৃহা=স্প্রীহা), স্প্র-- স্প্রিং
=স্প্রীং,
স্প্ল-- স্প্লিট=স্প্লীট,
স্প্লেনডিড=স্প্লনডীড(স্প্লন্ডীড ?), স্ফ--স্ফটিক=স্ফটীক,
স্ম-- স্মার্ত= স্মাত৹, [স্মৃ-- স্মৃতি=স্রীতী,
স্মৃত=স্ম্রীত৹, বিস্মৃত=বীস্রীত৹], [স্যন্দন=শন্দন/শন্দন], স্র-- (স্মৃতি=স্রীতী), স্রোত=স্রৗত, স্ল--
স্লেট=স্লট, [স্বত্ত্ব=শত্ত], (স্বরধ্বনি=শ্শরধ্ধনী/শরধ্ধনী),
(সেলেট/শেলেট=সলট/শলট) [১৮](১৫)
হ-- (হৃ-- হৃত=হ্রীত), [ব্রহ্ম=(ব্রহ্ম৹) ব্রম্হ৹], হ্র--হ্রদ=হ্রদ, হ্রী=হ্রী,
হৃষিকেষ-- তীর্থ - হ্রীশীকশ (কিন্তু ঋষিকেশ- শ্রীকৃষ্ণ=রীশীকশ),
হৃদপিণ্ড=হ্রীদপীন্ড, হ্ল-- হ্লাদিনী=হ্লাদীনী [৩](২)
মোট সংখ্যা= [৫৪] ৫৬
বাংলা নতুন-বানান -১৫
যুক্তবর্ণ :-- ক্ন ক্র
ক্ল; খ্ম খ্র; গ্র গ্ল; ঘ্ন ঘ্র; চ্চ; জ্র; ট্র; ড্র; ত্ত ত্র; থ্র; দ্র;
ধ্ধ ধ্ম ধ্র; ন্র; প্র প্ল; ফ্র ফ্ল ; ব্ব ব্র ব্ল; ভ্র ভ্ল; ম্র ম্ল; র;
ল্র; শ্ট শ্ট্র শ্ন শ্ল শ্শ; স্ক
স্ক্র স্খ স্ত স্ত্র স্থ স্ন স্প স্প্র স্প্ল স্ফ স্ম স্ম্র স্র স্ল; হ্র
হ্ল = ৫৬
(ক্ন ক্র ক্ল; খ্ম খ্র; গ্র গ্ল; ঘ্ন ঘ্র; চ্চ; জ্র; ট্র; ড্র; ত্ত ত্র; থ্র; দ্র; ধ্ধ ধ্ম ধ্র; ন্র; প্র প্ল; ফ্র ফ্ল ; ব্ব ব্র ব্ল; ভ্র ভ্ল; ম্র ম্ল; র; ল্র; শ্ট শ্ন শ্ল শ্শ; স্ক স্খ স্ত স্থ স্ন স্প স্ফ স্ম স্র স্ল; হ্র হ্ল; শ্ট্র ; স্ক্র স্ত্র স্প্র স্প্ল স্ম্র = ৫৬)
পূর্ববর্ণের বর্ণক্রম
অনুসারে এই তালিকা পৃথক খোপে/ছাঁচে(ম্যাট্রিক্সে) --
পূর্ববর্ণ
|
প্রথম
পরবর্ণ
|
দ্বিতীয়
পরবর্ণ
|
যুক্তবর্ণ
|
ক
|
ন
|
ক্ন
|
|
ক
|
র
|
ক্র
|
|
ক
|
ল
|
ক্ল
|
|
খ
|
ম
|
খ্ম
|
|
খ
|
র
|
খ্র
|
|
গ
|
র
|
গ্র
|
|
গ
|
ল
|
গ্ল
|
|
ঘ
|
ন
|
ঘ্ন
|
|
ঘ
|
র
|
ঘ্র
|
|
চ
|
চ
|
চ্চ
|
|
জ
|
র
|
জ্র
|
|
ট
|
র
|
ট্র
|
|
ড
|
র
|
ড্র
|
|
ত
|
ত
|
ত্ত
|
|
ত
|
র
|
ত্র
|
|
থ
|
র
|
থ্র
|
|
দ
|
র
|
দ্র
|
|
ধ
|
ধ
|
ধ্ধ
|
|
ধ
|
ম
|
ধ্ম
|
|
ধ
|
র
|
ধ্র
|
|
ন
|
র
|
ন্র
|
|
প
|
র
|
প্র
|
|
প
|
ল
|
প্ল
|
|
ফ
|
র
|
ফ্র
|
|
ফ
|
ল
|
ফ্ল
|
|
ব
|
ব
|
ব্ব
|
|
ব
|
র
|
ব্র
|
|
ব
|
ল
|
ব্ল
|
|
ভ
|
র
|
ভ্র
|
|
ভ
|
ল
|
ভ্ল
|
|
ম
|
র
|
ম্র
|
|
ম
|
ল
|
ম্ল
|
|
র
|
র
|
র
|
|
ল
|
র
|
ল্র
|
|
শ
|
ট
|
শ্ট
|
|
শ
|
ট
|
র
|
শ্ট্র
|
শ
|
ন
|
শ্ন
|
|
শ
|
ল
|
শ্ল
|
|
শ
|
শ
|
শ্শ
|
|
স
|
ক
|
স্ক
|
|
স
|
ক
|
র
|
স্ক্র
|
স
|
খ
|
স্খ
|
|
স
|
ত
|
স্ত
|
|
স
|
ত
|
র
|
স্ত্র
|
স
|
থ
|
স্থ
|
|
স
|
ন
|
স্ন
|
|
স
|
প
|
স্প
|
|
স
|
প
|
র
|
স্প্র
|
স
|
প
|
ল
|
স্প্ল
|
স
|
ফ
|
স্ফ
|
|
স
|
ম
|
স্ম
|
|
স
|
ম
|
র
|
স্ম্র
|
স
|
র
|
স্র
|
|
স
|
ল
|
স্ল
|
|
হ
|
র
|
হ্র
|
|
হ
|
ল
|
হ্ল
|
মোট=৫৬
পূর্ববর্ণের বর্ণক্রম অনুসারে উপরের এই তালিকা
এই
যুক্তধ্বনিগুলি সৃষ্টিতে অংশ নেয় যে-বর্ণগুলি-- কখগঘ, চজ, টড, তথদধন, পফবভম,
রলশস হ =২৩ এর সবকটিই ‘পূর্ববর্ণ’ হিসেবও ব্যবহৃত হয় অবশ্য পূর্ববর্ণ হিসেবে আরও
বেশি বর্ণ ব্যবহৃত হয় যুক্তবর্ণের দুটি অংশ, পূর্ববর্ণ এবং পরবর্ণ যুক্তবর্ণ = পূর্ববর্ণ+পরবর্ণ গল্প শব্দটিতে “ল্প”
অংশে ল (তথা ছোটো 'ল') হল পূর্ববর্ণ,
এবং ‘প’ হল পরবর্ণ
ব-১৭.২.২ যুক্তবর্ণের “পরবর্ণ” হিসেবে ব্যবহার হয় ১৫টি বর্ণের,
যেমন-- ক খ চ ট ত থ ধ ন প ফ ব ম র ল শ (মধ্য
পরবর্ণ এবং শেষ পরবর্ণ দুটোই)
স্ক;
স্খ; চ্চ; শ্ট; ত্ত স্ত; স্থ; ধ্ধ; ক্ন ঘ্ন শ্ন স্ন; স্প; স্ফ; ব্ব; খ্ম ধ্ম স্ম;
ক্র খ্র গ্র ঘ্র জ্র ট্র ড্র ত্র থ্র দ্র ধ্র ন্র প্র ফ্র ব্র ভ্র
ম্র র ল্র শ্ট্র স্ক্র স্ত্র স্প্র স্ম্র স্র হ্র; ক্ল গ্ল প্ল ফ্ল ব্ল
ভ্ল ম্ল শ্ল স্প্ল স্ল হ্ল; শ্শ = মোট
সংখ্যা ৫৬
বাংলা নতুন-বানান -১৬
পরবর্ণের বর্ণক্রম অনুসারে এই তালিকা পৃথক খোপে/ছাঁচে(ম্যাট্রিক্সে) হবে
--
পূর্ববর্ণ
|
প্রথম পরবর্ণ
|
দ্বিতীয় পরবর্ণ
|
যুক্তবর্ণ
|
স
|
ক
|
স্ক
|
|
স
|
খ
|
স্খ
|
|
চ
|
চ
|
চ্চ
|
|
শ
|
ট
|
শ্ট
|
|
ত
|
ত
|
ত্ত
|
|
স
|
ত
|
স্ত
|
|
স
|
থ
|
স্থ
|
|
ধ
|
ধ
|
ধ্ধ
|
|
ক
|
ন
|
ক্ন
|
|
ঘ
|
ন
|
ঘ্ন
|
|
শ
|
ন
|
শ্ন
|
|
স
|
ন
|
স্ন
|
|
স
|
প
|
স্প
|
|
স
|
ফ
|
স্ফ
|
|
ব
|
ব
|
ব্ব
|
|
খ
|
ম
|
খ্ম
|
|
ধ
|
ম
|
ধ্ম
|
|
স
|
ম
|
স্ম
|
|
ক
|
র
|
ক্র
|
|
খ
|
র
|
খ্র
|
|
গ
|
র
|
গ্র
|
|
ঘ
|
র
|
ঘ্র
|
|
জ
|
র
|
জ্র
|
|
ট
|
র
|
ট্র
|
|
ড
|
র
|
ড্র
|
|
ত
|
র
|
ত্র
|
|
থ
|
র
|
থ্র
|
|
দ
|
র
|
দ্র
|
|
ধ
|
র
|
ধ্র
|
|
ন
|
র
|
ন্র
|
|
প
|
র
|
প্র
|
|
ফ
|
র
|
ফ্র
|
|
ব
|
র
|
ব্র
|
|
ভ
|
র
|
ভ্র
|
|
ম
|
র
|
ম্র
|
|
র
|
র
|
র
|
|
ল
|
র
|
ল্র
|
|
শ
|
ট
|
র
|
শ্ট্র
|
স
|
ক
|
র
|
স্ক্র
|
স
|
ত
|
র
|
স্ত্র
|
স
|
প
|
র
|
স্প্র
|
স
|
ম
|
র
|
স্ম্র
|
স
|
র
|
স্র
|
|
হ
|
র
|
হ্র
|
|
ক
|
ল
|
ক্ল
|
|
গ
|
ল
|
গ্ল
|
|
প
|
ল
|
প্ল
|
|
ফ
|
ল
|
ফ্ল
|
|
ব
|
ল
|
ব্ল
|
|
ভ
|
ল
|
ভ্ল
|
|
ম
|
ল
|
ম্ল
|
|
শ
|
ল
|
শ্ল
|
|
স
|
প
|
ল
|
স্প্ল
|
স
|
ল
|
স্ল
|
|
হ
|
ল
|
হ্ল
|
|
শ
|
শ
|
শ্শ
|
মোট=৫৬
পরবর্ণের বর্ণক্রম
অনুসারে এই তালিকা পৃথক খোপে(ম্যাট্রিক্সে)দেখানো হল
ব-১৭.৩ বর্ণের দ্বিত্ব= ২৩
ক্ক=ক্ক--
আক্কেল=আক্কল, ক্ম-- রুক্মিণী=রুক্কীনী, ক্য-- বাক্য=বাক্ক, ক্ব-- পক্ব=পক্ক,
(বিসর্গ-ক)ঃক=প্রাতঃকাল=প্রাতক্কাল (৫)
খ্খ=খ্খ-- ক্ষ-- পক্ষ=পখ্খ, ক্ষ্ম--সূক্ষ্ম=শুখ্খ, ক্ষ্ম্য--সৌক্ষ্ম্য=শৗউখ্খ, ক্ষ্য-- লক্ষ্য=লৗখ্খ/লখ্খ,
(লক্ষ=লখ্খ),
ক্ষ্ব--ইক্ষ্বাকু=ইখ্খাকু, খ্য--সখ্য=শৗখ্খ,
(বিসর্গ-খ)ঃখ--দুঃখ=দুখ্খ (৭)
গ্গ=গ্গ--একবগ্গা=এাকবগ্গা,
গ্য-- ভোগ্য=ভৗগ্গ, যোগ্য=জৗগ্গ, জ্ঞ--বিজ্ঞ=বীগ্গঁ,
বিজ্ঞান=বীগ্গাঁন/বীগ্গ৺ন (২)
ঘ্ঘ=ঘ্ঘ-- ঘ্য-- শ্লাঘ্য=শ্লাঘ্ঘ(শ্লাঘ্ঘ ?), ঘ্ব--
লঘ্বী=লঘ্ঘী (২)
চ্চ=চ্চ--
উচ্চ=উচ্চ, চ্য--বাচ্য=বা(ই)চ্চ/বাচ্চ,
চ্যূত=চ্চুত (২)
ছ্ছ=চ্ছ--
উচ্ছল=উছ্ছল, চ্ছ্র-- উচ্ছ্রয়=উছ্ছ্রয়[উছ্ছ্রয়], চ্ছ্ব-- উচ্ছ্বাস=উছ্ছাশ (৩)
জ্জ=জ্জ--
সজ্জা=শজ্জা/শৗজ্জা, জ্য-- রাজ্য=রাজ্জ, জ্জ-- উজ্জ্বল=উজ্জল, য্য--
সাহায্য=
শাহাজ্জ(শাহা(ই)জ্জ
?), শয্যা= শজ্জা/শৗজ্জা[সজ্জা=শজ্জা],
জ্য--
রাজ্য= রাজ্জ/
রাইজ্জ,
জ্জ্ব-- উজ্জ্বল=উজ্জল (৪)
[জ্ঝ=জ্ঝ-- হ্য-- সহ্য=শৗজ্ঝ, দাহ্য=দাজ্ঝ(দাঝ্ঝ ?)
(১)]
ট্ট=ট্ট--ঠাট্টা=ঠাট্টা,
ট্য--নাট্য=না(ই)ট্ট/নাট্ট,
ট্ব-- খট্বা=খট্টা, খট্বাঙ্গ=খট্টাংগ (৩)
ঠ্ঠ=ঠ্ঠ-- ঠ্য--পাঠ্য=পা(ই)ঠ্ঠ/পাঠ্ঠ, শাঠ্য=শা(ই)ঠ্ঠ/শাঠ্ঠ (১)
ড্ড=ড্ড--আড্ডা=আড্ডা,
ড্য--জাড্য=জা(ই)ড্ড/জাড্ড,
ড্ব-- অনড্বান=অনড্ডান
(৩)
ঢ্ঢ=ঢ্ঢ-- ঢ্য-- ধনাঢ্য=ধনা(ই)ঢ্ঢ/ধনাঢ্ঢ, আঢ্য=আ(ই)ঢ্ঢ/আঢ্ঢ (১)
ত্ত=ত্ত/ৎত-- ত্ত--উত্তম=উত্ত্ম(উৎতম নহ), ত্ত্বক=ত্তক, ত্ম--আত্মীয়=আত্তীয়,
ত্য-- সত্য=শৗত্ত, ত্ব--
দ্বিত্ব=দীত্ত, ত্ত্য-- বৈচিত্ত্য=বৗইচীত্ত, ত্ত্ব-- তত্ত্ব=
তত্তৗ/তত্ত, মহত্ত্ব=মহত্ত,
সত্ত্ব=শত্ত, স্বত্ত্ব=শত্ত, ত্ম্য-- মাহাত্ম্য=
মাহা(ই)ত্ত/মাহাত্ত,
[ত্ত=ৎত, কিন্তু হুবহু এক নয় ৎ এবং ত-এর মধ্যে একটু
ক্ষণ-বিরতি
আছে, সুতরাং ত্ত=ৎত না লেখাই ভালো] (৭)
বাংলা নতুন-বানান -১৭
থ্থ=থ্থ-- ত্থ--উত্থান=উথ্থান, থ্য-- তথ্য=তথ্থ/তৗথ্থ, থ্ব--পৃথ্বী=প্রীথ্থী (৩)
দ্দ=দ্দ--দ্দ--উদ্দাম=উদ্দাম, দ্ম-- পদ্ম=পদ্দ, দ্য--পদ্য=পৗদ্দ[পদ্ম=পদ্দ], {দ্যূত=দুত(দুৎ)},
দ্ব--বিদ্বান=বীদ্দান, দ্দ্য--উদ্দ্যোতন=উদ্দৗতন, দ্দ্ব--তদ্দ্বারা=তদ্দারা (৬)
ধ্ধ=ধ্ধ-- দ্ধ্ব-- উদ্ধ্বস্ত=উধ্ধস্ত, ধ্ম--আধ্মাত=আধ্মাত/আধ্ধাত, ধ্য--বাধ্য=বাধ্ধ, ধ্ব--
সাধ্বী=শাধ্ধী (৪)
ন্ন=ন্ন--ণ্ণ--বিষণ্ণ=বীশন্ন, ণ্য--অরণ্য=অরন্ন/অরন্ন, ণ্ব--কণ্ব=কন্ন, ন্ন-- অন্ন=অন্ন,
ন্য--অন্য=ওন্ন, অন্যথা=ওন্নথা, ধন্য=ধৗন্ন, ন্ব--তন্বী=তৗন্নী, ন্ন্য--সন্ন্যস্ত=শন্নস্ত/
শৗন্নস্ত
(৭)
প্প=প্প--চপ্পল=চপ্পল,
প্য--রৌপ্য=রোউপ্প, (বিসর্গ-প)ঃপ--অতঃপর=অতপ্পর
(৩)
ব্ব=ব্ব--চব্বিশ=চব্বীশ/চৗব্বীশ,
সব্ব=শব্ব, ব্য--আরব্য=আরব্ব/আরৗব্ব (২)
[ব্ভ=ব্ভ--হ্ব--বহ্বারম্ভে=বব্ভারম্ভ, বহ্বাড়ম্বর=বব্ভাড়ম্বর, বহ্বাশী=বব্ভাশী (১)]
ভ্ভ=ভ্ভ--ভ্য--সভ্য=শৗভ্ভ, লভ্য=লৗভ্ভ (১)
ম্ম=ম্ম--
সম্মান=শম্মান, ম্য-- কাম্য=কা(ই)ম্ম/কাম্ম
(২)
র্র(র)=র--ঋণ=রীন,ঋতু=রীতু,ঋষি=রীশী[হৃষিকেশ=হ্রীশীকশ],
বহির্রাজ্য=বহীরাজ্জ
(১)
ল্ল=ল্ল--ল্য --কল্য=কৗল্ল, ল্ল--বল্লম=বল্লম, ল্ব--বিল্ব=বীল্ল (৩)
শ্শ=শ্শ--শ্ম--জীবাশ্ম=জীবাশ্শ,(শ্মশান=শশান), শ্য-- বশ্য=বৗশ্শ/বশ্শ,
শ্ব--অশ্ব=অশ্শ,
(বিসর্গ-শ)ঃশ--দুঃশাসন=দুশ্শাশন, ষ্ম--ভীষ্ম=ভীশ্শ, ষ্য--পোষ্য=পৗশ্শ,
ষ্ব--পিতৃষ্বসা=পীত্রীশ্শশা,
অগ্নিষ্বাত্ত=অগ্নীশাত্ত/অগ্নীশ্শাত্ত,
সাৎ--[উদরসাৎ=উদরশাৎ], আত্মসাৎ=আত্তশ্শাৎ,
ধূলিসাৎ= ধুলীশ্শাৎ
ভূমিসাৎ=ভুমীশ্শাৎ
স্ম--বিস্ময়=বীশ্শয়, অকস্মাৎ=অকশ্শাৎ স্য--হাস্য=হাশ্শৗ,
স্ব--পরস্ব= পরশ্শ, স্বঃ--
স্বঃ=শ্শ, (বিসর্গ-স)ঃস-- নিঃসহায়=নীশ্শহায় (১৩)
৮৭টি ক্ষেত্রের উদাহরণ দেখানো হয়েছে
ব-১৭.৪ ফলা ব্যবহার
একটি ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে অন্য ব্যঞ্জন জুড়ে লিখবার জন্য সাতটি(৭টি) ব্যঞ্জনের আটটি(৮টি) বিশেষ যোজ্য-রূপ, তথা চিহ্ন হল-- ফলা
(ণ=
ন=
ম=
য=্য
র=্র
রেফ=
ল=
ব(ওয়=অসমিয়া ৱ )=
(ণ=
ন=
ম=
য=্য
র=্র
রেফ=
ল=
ব(ওয়=অসমিয়া ৱ )=
[আসলে এই ক‘টি বর্ণের যোজ্যরূপ খুব বেশি ব্যবহৃত হয় (এ যুগে ণ--বাদে), তাই এদের আলাদা চিহ্ন তৈরি করে নেওয়া হয়েছে হাতে করে লেখার সুবিধার জন্য (বর্ণ তুলনাংক দ্রষ্টব্য) ]
এই সকল -- ণ-ফলা, ন-ফলা, ম-ফলা ্য ্র রেফ, ল-ফলা, ব-ফলা --এদের বিশেষ রূপগুলি
থাকবে না অর্থাৎ এইগুলি যুক্তবর্ণের “পরবর্ণ” হিসেবে ব্যবহৃত হবে না (যুক্তবর্ণ=
পূর্ববর্ণ + পরবর্ণ) ফলাগুলির মধ্যে একমাত্র রেফ হল পূর্ববর্ণ প্রচলিত
ফলাগুলির, উচ্চারণ অনুসারে বর্ণের দ্বিত্ব করে এবং যথাস্থানে যুক্তবর্ণ ব্যবহার
করে, নিম্নে প্রদর্শিত ব্যবস্থা মতো, যেখানে যেমন প্রয়োজন-- সেইভাবে লিখতে হবে
ফলার জন্য কোনও হরফের কর্তিত অংশ ব্যবহৃত হবেনা পূর্ণ হরফ ক্ষুদ্র আয়তনে ব্যবহৃত হবে
ণ্ণ-- বিষণ্ণ=বীশন্ন
ষ্ণ(ষ )-- উষ্ণ=উশ্ন, কৃষ্ণ=ক্রীশ্ন
হ্ণ [ =
](হ+ণ)--অপরাহ্ণ=অপরাহ্ন=অপরানহ[অপরান্হ], প্রাহ্ণ=প্রানহ[প্রান্হ] [চিহ্ন=চীনহ→চীন্হ] (উচ্চারণে হ্ন →নহ হব)
ক্ষ্ণ-- তীক্ষ্ণ=তীখ্ন
র্ষ্ণ[র্ষ ]-- বার্ষ্ণেয়=বাশ্নয়/বারশ্নয়
বাংলা নতুন-বানান -১৮
ক্ন-- বাচক্নবী=বাচক্নবী
গ্ন--মগ্ন=মগ্ন [কিন্তু রুগ্ন নহে, হবে রুগ্ণ
নতুন বানানে =রুগ্ন]
ঘ্ন--বিঘ্ন=বীঘ্ন
ত্ন-- যত্ন=জত্ন, রত্নাবলী=রত্নাবলী
ধ্ন--গৃধ্নু=গ্রীধ্নু
ন্ন--অন্ন=অন্ন [অন্য=ওন্ন]
প্ন--স্বপ্ন=শপ্ন, কপ্নী=কপ্নী,
ম্ন-- নিম্নে=নীম্ন
শ্ন-- প্রশ্ন=প্রশ্ন
স্ন--স্নান=স্নান
হ্ন--হ+ন কিন্তু উচ্চারণে ন্হ -- চিহ্ন=চীনহ, চিহ্নিত=চীনহীত, মধ্যাহ্ন=মৗধ্ধানহ
[প্রাহ্ণ=প্রানহ]
ব-১৭.৪.৩(বর্গীয়) ব-ফলা থাকবে না, এবং ব-ফলার জন্য বিশেষ চিহ্ন
ব্যবহৃত হবে না?[ফলা হিসেবে প্রধানভাবে অন্তস্থ-ব ব্যবহৃত হয়, বর্গীয় ব নয়]
(দ্রষ্টব্য-- ব-১৭.৪.৯ পৃঃ ২৬)
ব্ব--চব্বিশ=চব্বীশ(বর্গীয় ব+ বর্গীয় ব), বাব্বা=বাব্বা,
বাব্বাঃ=বাব্বাঃ/বাব্বাহ্,
ব্বাবা= ব্বাবা(বর্গীয় ব+ বর্গীয়
ব)
ম্ব--নিম্ব=নীম্ব, কম্বল=কম্বল
ব-১৭.৪.৪ ম-ফলা থাকবে না, ম-ফলার জন্য বিশেষ চিহ্ন
ব্যবহৃত হবে না ম-ফলা হবে বর্ণের দ্বিত্ব, অথবা যেখানে যেমন প্রয়োজন
ক্ম--রুক্ম=রুক্ম, রুক্মিনী=রুক্কীনী
খ্ম--খ্মের(khmer)=খ্মর/খমর (যেমন-- মৗন-খ্মর রুজ বাহীনী-- কম্বৗডীয়া)
গ্ম--যুগ্ম=জুগ্ম
ঙ্ম--বাঙ্ময়=বাংময়
ট্ম--কুট্মল=কুট্মল(মুকুল)
ড্ম--কুড্মল=কুড্মল(মুকুলিত)
ণ্ম--হিরণ্ময়-হীরন্ময়
ত্ম--আত্ম=আত্ত, আত্মসাৎ=আত্তশ্শাৎ আত্মীয়=আত্তীয়
দ্ম--পদ্ম=পদ্দ[পদ্য=পৗদ্দ], পদ্মাসন=পদ্দাশন
ধ্ম--সিধ্মলা=শীধ্মলা, ধ্মাত=ধ্মাত, আধ্মাত=আধ্ধাত, আধ্মান=আধ্ধান(আধ্মান ?)
ন্ম--জন্ম=জন্ম
ম্ম--সম্মান=শম্মান(কিন্তু সন্মান্ নহে কথাটি ভুল, যদিও আমরা শন্মান্ =শন্মান
এমনি ভাবেই অনেকে বলে থাকিএকটি টিভির চলমান ফিতে সংবাদে দেখালম লেখা--সন্মান=সন্মান্)
ল্ম--গুল্ম=গুল্ম
শ্ম--জীবাশ্ম=জীবাশ্শ, শ্মশান=শশান
ষ্ম--গ্রীষ্ম=গ্রীশ্শ, ভীষ্ম=ভীশ্শ
স্ম--বিস্ময়=বীশ্শয়, স্মরণ=শরন, অকস্মাৎ=অকশ্শাৎ স্মার্ত=স্মাত, স্মৃতি=স্রীতী,
স্মৃত=স্রীত(স্ম্রীত ?), বিস্মৃত=বীস্রীত
হ্ম--ব্রহ্মপুত্র=ব্রমহপুত্র(চলতি বানানে ব্রহ্ম৹ পুত্র=ব্রহ্মপুত্র)
ক্ষ্ম--সূক্ষ্ম=শুখ্খ
র্ত্ম-- গিরিবর্ত্ম=গীরীবত
র্ম্ম--মর্ম্ম=মম [মরম=মরম/মর৹ম্ ]
বাংলা নতুন-বানান -১৯
ব-১৭.৪.৫ য-ফলা থাকবে না অন্ত্য য-ফলা(্য) হবে ধ্বনির দ্বিত্ব
অথবা যেখানে যেমন প্রয়োজন য-ফলার জন্য বিশেষ চিহ্ন(্য) ব্যবহৃত হবে না য-ফলার
বিষয়ে নীচে তিন-বর্ণ সংযুক্তির শুরুতে যোজিত মন্তব্য দ্রষ্টব্য (প্রয়োজনের
ক্ষেত্রে বরং য=্য ধ্বনির প্রতিনিধি
স্থানীয় য় = চিহ্ন [নতুন সৃষ্ট]ব্যবহার করা যেতে পারে)
ক্য--বাক্য=বাক্ক[এসব
স্থলে সাধারণত পূর্বস্থ আ-এর প্রভাবে (y)য়= (য়-এর নতুন চিহ্ন)
ধ্বনির অস্ফূট উচ্চারণ শোনা যায়]
খ্য-- সখ্য=শৗখ্খ
গ্য--ভোগ্য=ভৗগ্গ
ঘ্য--শ্লাঘ্য=শ্লাঘ্ঘ/শ্লাঘ্ঘ
চ্য--প্রাচ্য=প্রাচ্চ/প্রাচ্চ,
বাচ্য=বাচ্চ/বাচ্চ
ছ্য--ছ্যুৎ=ছ্ছুৎ/ছুৎ
জ্য--জ্যা=জ, জ্যামিতি=জমীতী,
রাজ্য=রাজ্জ/রাজ্জ
ঞ্য--ঞ্যন্ত=নন্ত/নন্ত
ট্য--অকাট্য=অকাট্ট/অকাট্ট
ঠ্য--পাঠ্য=পাঠ্ঠ/পাঠ্ঠ [ঠ্ঠাস=ঠ্ঠাস/ঠ্ঠাশ
কর এাক চড়]
ড্য--জাড্য=জাড্ড/জাড্ড
ঢ্য--ধনাঢ্য=ধনাঢ্ঢ/ধনাঢ্ঢ
ণ্য--অরণ্য=অরন্ন
ত্য--উত্যক্ত=উত্তক্ত, ত্যক্ত=তক্ত,
পরিত্যক্ত=পরীতক্ত, সত্য=শৗত্ত,
সত্যাগ্রহ=শৗত্তাগ্রহ [সততা=শততা]
থ্য--কথ্য=কৗথ্থ, তথ্য=তৗথ্থ
দ্য--গদ্য=গৗদ্দ, মদ্য=মৗদ্দ(মদ), [মদ্দ=মদ্দ{(কথ্যভাষায়)
পুরুষ}-- ময়মদ্দ], সদ্য=শৗদ্দ
ধ্য--মধ্য=মৗধ্ধ
অন্য=ওন্ন
[অন্ন=অন্ন-- ভাত]
প্য-- রৌপ্য=রৗউপ্প
ব্য--আরব্য=আরব্ব/আরৗব্ব
ভ্য--লভ্য=লৗভ্ভ, সভ্য=শৗভ্ভ
ম্য--কাম্য=কাম্ম
য্য--সাহায্য=শাহাজ্জ/শাহাইজ্জ
ল্য--শল্য=শৗল্ল
ব্য--ব্যক্তি=বক্তী (বক্তী নহ ), ব্যয়=বয়,
অব্যয়=অব্বয়, ব্যগ্র=বগ্র, ব্যসন=বশন
(বশন?),
ব্যবস্থা=ববস্থা, ব্যবস্থিত=ববস্থীত/ববস্থীত,
অব্যবস্থিত=অব্ববস্থীত/অববস্থীত
শ্য--দৃশ্য=দ্রীশ্শ, অবশ্য=অবশ্শ
ষ্য--পোষ্য=পৗশ্শ
স্য--আস্য=আশ্শ
হ্য--দাহ্য=দাজ্ঝ/দাজ্ঝ
বাংলায় অ-এর উচ্চারণে একটু ও-ঘেঁষা ভাব আছে দৃশ্য=দ্রীশ্শৗ,
পোষ্য=পৗশ্শৗ, আস্য=আশ্শৗ, দাহ্য=দাজ্ঝৗ/দাজ্ঝ -- ইত্যাদি
বাংলা নতুন-বানান -২০
*** তিন বর্ণের সংযোগ ***
যুক্তবর্ণের
তৃতীয় বর্ণ য-ফলা হলে(্য ), য-এর ‘ইয়’ উচ্চারণের রেশ প্রায়ই থেকে যায়, এবং শব্দের
সঙ্গে ‘ইয়’ স্পষ্টভাবে উচ্চারিত না হয়ে একটি লঘু ই-এর অস্পষ্ট ধ্বনি শ্রুত হয় যেমন-- অগ্র=অ(ই)গ্র/অইগ্র অন্ত্য, (অ)চিন্ত্য [... ন্ত্য ]-- এর আগের ধ্বনিটি সাধারণভাবে স্বরান্ত হয়ে থাকে এর পিছনে পূর্বস্থ আ-এর
প্রভাবও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করে বাংলায় য-এর “ইয়” উচ্চারণ রক্ষিত হয়নি (বরং য-এর উচ্চারণ
করা হয়-- জ[যাদবপুর=JADAVPUR =not YADAVPUR])
কিন্তু ‘য’ থেকে জাত ‘য়’ বর্ণে এই ধ্বনি পাওয়া যায় (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে য=্য ধ্বনির প্রতিনিধি-স্থানীয়
য়= চিহ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে)
ক্ত্য--পৌনরুক্ত=পৗউনরুক্ত
ক্ন্য--ক্ন্যুট হ্যামসুন=ক্নুট হমসুন/হমশুন
ক্ষ্য--ভক্ষ্য=ভৗখ্খ/ভৗ(ই)খ্খ
গ্ধ্য--বৈদগ্ধ্য=বৗইদগ্ধ
গ্ন্য--অগ্ন্যাশয়=অগ্নশয়, অগ্ন্যুৎপাত=অগ্নুৎপাৎ
গ্র্য--অগ্র্য=অগ্র (এখানে উচ্চারণ অনেকটা অ(ই)গ্র/অইগ্র ধরনের হয়, এবং এই ধরনের
অন্যান্য
স্থানেও সাধারণত অনুরূপ উচ্চারণ হয় কিন্তু তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই নয়)
ঘ্ন্য--অঘ্ন্য=অঘ্ন--অ(ই)ঘ্ন/অইঘ্ন ... এবং ইত্যাদি
ঙ্ক্য--অঙ্ক্য=অংক/অ(ই)ংক/অইংক [যেগুলি কম ব্যবহৃত শব্দ সেখানে পূর্বের উচ্চারণ অনেকটাই ধরা থাকে জনব্যবহারে ধ্বনির ক্ষয় ঘটে]
ঙ্খ্য-- সাঙ্খ্য=শাংখ/শা(ই)ংখ/শাইংখ
ঙ্গ্য--ব্যঙ্গ্য=ব৾গ৹
ঙ্ঘ্য--অলঙ্ঘ্য=অলংঘ/অল(ই)ংঘ
ণ্ঠ্য--কণ্ঠ্য=কণ্ঠ/ক(ই)ণ্ঠ/কইণ্ঠ
ণ্ড্য--পাণ্ড্য=পাণ্ড/পা(ই)ণ্ড/পাইণ্ড
ত্ত্য--বৈচিত্ত্য=বৗইচীত্ত
ত্ন্য--সাপত্ন্য=শাপত্ন/শাপ(ই)ত্ন/শাপইত্ন
ত্ম্য--মাহাত্ম্য=মাহাত্ত/মাহা(ই)ত্ত/মাহাইত্ত
[মহত্ত্ব=মহত্ত]
ত্র্য--বৈচিত্র্য=বৗইচীত্র
দ্দ্য--উদ্দ্যোতন=উদ্দৗতন
দ্ধ্য--শুদ্ধ্যশুদ্ধি=শুদ্ধশুদ্ধী/শুদ্ধশুদ্ধী
দ্র্য--দারিদ্র্য=দারীদ্র
দ্ব্য--সদ্ব্যয়=শদ্বয়/শদ্বয়/শদ্বয়
ন্ত্য--অচিন্ত্য=অচীন্ত
ন্দ্য--অগ্নিমান্দ্য=অগ্নীমান্দ/অগ্নীমা(ই)ন্দ/অগ্নীমাইন্দ
ন্ধ্য--সান্ধ্য=শান্ধ/শা(ই)ন্ধ/শাইন্ধ
ন্ন্য--সন্ন্যস্ত=শন্নস্ত/শ(ই)ন্নস্ত/শইন্নস্ত
ব্ধ্য--অব্ধ্যগ্নি=অব্ধগ্নী/অ(ই)ব্ধগ্নী/অইব্ধগ্নী
ব্ল্য--ডব্ল্যু(W)=ডাবলীউ/ডব্লীউ
ম্প্য--অনুকম্প্য=অনুকম্প/অনুক(ই)ম্প/অনুকইম্প
র্ক্য--অতর্ক্য=অতক/অত(ই)ক/অতইক
র্গ্য--গার্গ্য=গাগ/গা(ই)গ/গাইগ
র্ঘ্য--দৈর্ঘ্য=দৗইঘ
র্চ্য--অর্চ্য=অচ/অ(ই)চ/অইচ(ওচ/ও(ই)চ/ওইচ)
র্জ--অন্তর্জ্যোতিঃ=অন্তজৗতী
র্ঢ্য--দার্ঢ্য=দাঢ/দা(ই)ঢ/দাইঢ
বাংলা নতুন-বানান -২১
র্ণ্য--বৈবর্ণ্য=বৗইবন/বৗইব(ই)ন/বৗইবইন
(বৗইবন ?)
র্ত্য--মর্ত্য=মত/ম(ই)ত/মইত
র্থ্য--সামর্থ্য=শামথ/শাম(ই)থ/শামইথ
র্দ্য--সৌহার্দ্য=শৗউহাদ/শৗউহা(ই)দ/শৗউহাইদ
র্ধ্য--অনবরার্ধ্য=অন৹বরাধ/অন৹বরা(ই)ধ/অন৹বরাইধ
র্প্য--অর্প্য=অপ/অ(ই)প/অইপ
র্ভ্য--সগর্ভ্য=শগভ/শগ(ই)ভ/শগইভ
র্ম্য--হর্ম্য=হম/হ(ই)ম/হইম
র্য্য--কার্য্য/কার্য=কাজ/কা(ই)জ/কাইজ,
সৌন্দর্য্য/সৌন্দর্য=শৗউন্দজ
র্ব্য (আসলে
এটি অন্তঃস্থ ৱ)-- নির্ব্যূঢ়=নীবুঢ়/নীবুঢ়৹
র্শ্য--কার্শ্য=কাশ/কা(ই)শ/কাইশ
র্ষ্য--হর্ষ্যক্ষ=হশখ্খ/হ(ই)শখ্খ/হইশখ্খ
র্স্য--মার্স্যেল্জ্ (Marseilles)=মারসল্জ্/মারসল্জ্ [আসল শব্দ Mahr Sā ]
ল্ক--যাজ্ঞবল্ক্য=জাগ্গঁবৗল্ক(জাগ্গঁবৗ(ই)ল্ক/জাগ্গঁবৗইল্ক)
ল্ক--যাজ্ঞবল্ক্য=জাগ্গঁবৗল্ক(জাগ্গঁবৗ(ই)ল্ক/জাগ্গঁবৗইল্ক)
ল্প্য--কল্প্য=ক্লপ/ক(ই)ল্প/কইল্প
যেখানে (ই) দেখানো হয়েছে সেখানে ই-ধ্বনির উচ্চারণ খুবই অস্পষ্ট, আর যেখানে ক্ষুদ্রাকরে ই দেখানো হয়েছে সেখানে ই-ধ্বনি খানিকটা স্পষ্ট
শ্চ্য--অবশ্চ্যুত=অবশ্চুত
ষ্ট্য--বৈশিষ্ট্য=বৗইশীশ্ট
ষ্ঠ্য--অনুষ্ঠ্যূত=অনুষ্ঠুত, ঔষ্ঠ্য=ওউশ্ঠ
ষ্ণ্য--ঔষ্ণ্য=ওউশ্ন
ষ্ম্য--ঔষ্ম্য=ওউশ্ম
স্ত্য--পুলস্ত্য=পুলস্ত
স্থ্য--স্বাস্থ্য=শাস্থ [ এখানে উচ্চারণ শা(ই)স্থ/শাস্থ/শাইস্থ
নহে শব্দটির বহুল
ব্যবহারের
ফলে ব্যবহারিক সুবিধা পেতে উচ্চারণ সরল হয়ে ‘শাস্থ’ হয়ে গেছে ]
স্ন্য--কার্ৎস্ন্য=কাৎস্ন [কাত্স্ন]
হ্ম্য--ব্রাহ্ম্য=ব্রাম্হ/ব্রাম্হ/ব্রাম্হ [হ্ম
উচ্চারণ না হয়ে, হচ্ছে ম্হ=ম্হ]
*** চার বর্ণের সংযোগ ***
ক্ষ্ণ্য--তৈক্ষ্ণ্য=তৗইখ্ন
ক্ষ্ম্য--সৌক্ষ্ম্য=শৗউখ্খ [শৗউখ্ম নহে]
ঙ্ক্ষ্য--সঙ্ক্ষ্যক=শংখক(শই৾খক
?)
ন্ত্র্য--স্বাতন্ত্র্য=শাতন্ত্র/শাত(ই)ন্ত্র
র্চ্চ্য--অর্চ্চ্য=অচ/অ(ই)চ
র্জ্জ্য--অবর্জ্জ্য=অবজ/অব(ই)জ
র্ত্ত্য-মর্ত্ত্য=মত/ম(ই)ত
র্দ্দ্য--সৌহার্দ্দ্য=শৗউহাদ/শৗউহা(ই)দ
র্ব্ব্য--দুর্ব্ব্যহার=দুববহার
র্ব্ভ্য--সগর্ব্ভ্য=শগভ/শগ(ই)ভ
র্ম্ম্য--নৈষ্কর্ম্ম্য=নৗইশ্কম
র্ষ্ণ্য--বার্ষ্ণ্য=বাশ্ন/বাশন/বা(ই)শন
বাংলা নতুন-বানান -২২
ব-১৭.৪.৬ র-ফলা থাকবে না, এবং র-ফলার জন্য বিশেষ চিহ্ন( ্র ) ব্যবহৃত হবে না
ক্র--বক্র=বক্র
খ্র--খ্রিষ্ট=খ্রীশ্ট
গ্র--অগ্র=অগ্র
ঘ্র--শীঘ্র=শীঘ্র
জ্র--বজ্র=বজ্র
ট্র--ট্রাম=ট্রাম, ট্রাক, ট্রন, মট্রৗ, ট্রপ,পট্রৗল
ড্র--ড্রাম=ড্রাম
ঢ্র--মেঢ্র=মঢ্র, সোঢ্রী=শৗঢ্রী
ত্র--পত্র=পত্র
থ্র--থ্রো=থ্রৗ
দ্র--ভদ্র=ভদ্র
ধ্র--লোধ্র=লৗধ্র
প্র--প্রথম=প্রথম, প্রবল, প্রাক,
ক্ষিপ্র=খীপ্র, প্রশ্ন=প্রস্ন(শ্ন নহ), এখানে স্ন
হবে
ফ্র--ফ্রক=ফ্রক, আফ্রিকা=আফ্রীকা
ব্র--ব্রহ্মপুত্র=ব্রম্হপুত্র
( হ্ম নহ ম্হ )
ভ্র--শুভ্র=শুভ্র
ম্র--কম্র=কম্র
ব্র--ব্রণ=ব্রন/ব্রন৹, ব্রত=ব্রত, ব্রীহি=ব্রীহী
শ্র--শ্রম=স্রম, বিশ্রাম=বীস্রাম, শ্রী=স্রী
[ শ্রী/শীরী নহ ]
হ্র--হ্রদ=হ্রদ, হ্রস্ব=হ্রশ্শ (ঋষিকেষ=রীশীকশ)
[হৃষিকেষ=হ্রীশীকশ]
ক্ট্র--ফ্যাক্ট্রি=ফক্টরী Factory/ফকট্রী/ফকটরী
ক্ত্র--বক্ত্র=বক্ত্র
ঙ্ক্র--সঙ্ক্রমণ=শংক্রমন
ঙ্ঘ্র--অঙ্ঘ্রি=অংঘ্রী
চ্ছ্র--কৃচ্ছ্র=ক্রীছ্র
ণ্ড্র--পুণ্ড্র=পুন্ড্র
ত্ত্র--পৌত্রিক=পৗউত্রীক
দ্ধ্র--যোদ্ধ্রী=জৗদ্ধ্রী
দ্ভ্র--উদ্ভ্রান্ত=উদ্ভ্রান্ত
ন্ট্র--কন্ট্রোল=কন্ট্রৗল
ন্ড্র--লন্ড্রি=লন্ড্রী/লন্ড্রী
ন্ত্র--যন্ত্র=জন্ত্র
ন্দ্র--চন্দ্রিমা=চন্দ্রীমা
ন্ধ্র--রন্ধ্র=রন্ধ্র
প্ত্র--প্রাপ্ত্রী=প্রাপ্ত্রী
ম্প্র--সম্প্রীতি=শম্প্রীতী
ম্ব্র--কেম্ব্রিজ=কম্ব্রীজ/কমব্রীজ
ম্ভ্র--সম্ভ্রম=শম্ভ্রম
বাংলা নতুন-বানান -২৩
র্গ্র--নির্গ্রন্থ=নীগ্রন্থ
র্ট্র--বার্ট্রান্ড রাসেল=বাট্রান্ড/বারট্রান্ড
রাসল
র্ত্র--কর্ত্রী=কত্রী/করত্রী
র্দ্র--আর্দ্র=আদ্র/আরদ্র, স্নেহার্দ্র=স্নহাদ্র/স্নহারদ্র
ষ্ক্র--নিষ্ক্রিয়=নীশ্ক্রীয়
ষ্ট্র-- রাষ্ট্র=রাশ্ট্র, স্রষ্ট্রী=স্রশ্ট্রী
ষ্প্র--দুষ্প্রাপ্য=দুশ্প্রাপ্প
স্ক্র--ইস্ক্রু=ইস্ক্রু/স্ক্রু
স্ট্র--অস্ট্রিক=অশ্ট্রীক, অস্ট্রেলিয়া=অশ্ট্রলীয়া/অস্ট্রলীয়া,
স্ট্রিট=শ্ট্রীট
স্ত্র--অস্ত্র=অস্ত্র, স্ত্রৈণ=স্ত্রৗইন৹ (স্ত্রৗইন্
?)
স্প্র--স্প্রে=স্প্র
র্ত্ত্র-- কর্ত্ত্রী=কত্রী/করত্রী
বাংলায়
কিছু ক্ষেত্রে ‘ত’ স্বঃত স্বরান্ত কত, গত, তত=ততো, থতমত, নত, মত(মতো, অভিমত=মৎ), যত, রত, শত ইত্যাদি এমনি কিছু
অ-কারান্ত শব্দ অহরহ=অহরহ, গুহ=গুহ, ঘন=ঘন, জড়=জড়, তব=তব, তর=তর, দ্বন্দ্ব=
দন্দ, নগ=নগ, ভজ=ভজ, মম=মম, লহ=লহ, ব্রণ=ব্রন৹,
শশ=শশ
বাংলা নতুন-বানান → → পৃষ্ঠা--২৪
৽ ৽
↓↓
দেখুন পরবর্তী দ্বিতীয় অংশ
দেখুন পরবর্তী দ্বিতীয় অংশ
লিংক:
http://banglamagna.blogspot.in/2013/02/bangla-natun-banan_28.html
সর্বশেষ পরিমার্জন ১৪/১০/২০১৮
No comments:
Post a Comment